কুয়াশাকাল
যে এলো দমকা বাতাসের মতো তেড়ে
নিয়মের শ্লেটে এঁকে অন্ধতা
জলঘড়ি শুধু ঘুরছে-ঘুরছে জানি
নিমগাছ ফাঁকে নিভে আসে পাতা
মেঘছায়া হাসে মৃদুল বাতাসে খুব
খয়েরি ডানায় লেগেছে ফাগুন
কুহকি আকাশে মেঘ অধীরতা ঢের
ভাঁজ খুলে দিয়ে জ্বলছে আগুন
একা নির্জনে জংলি ছাপার শাড়ি
ব্রাত্য জন্ম বৃথাই ঘামছে
গুঁড়ো হয়ে যায় ধূলিমর্মর চাঁদ
মাথার ভেতর কুয়াশা নামছে
পতন
ঝুলে আছি সুতোয়, পতনোন্মুখ- শতাব্দী ধরে। বোঁটা থেকে টেনে ছিঁড়ে নিতে গিয়ে আধছেঁড়া করে কেউ ঝুলিয়ে রেখে গেছে। এইবেলায় আপেলবাণী সত্য নয়, নিউটন…
টুপ করে পড়ে যাব বলে মৃত্যু অব্দি ঝুলে থাকা, ভেতরটা মরে যাচ্ছে, মরতে মরতে ঝুলে যাচ্ছে মৃত্যু। সংশয় বিঁধিয়ে রেখে সহজ পতন হ’লো না সুন্দর! নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছি, তার কাছে, তোমার ও তোমাদের কাছে। তথাপিও নিজের কাছে।
তুমি
এই শূন্যকাল, খরা বিশুদ্ধতা
মাঝামাঝি ঘুমের পর্বত ডিঙিয়ে
কুয়াশা বাগান, জানালায় কয়েক টুকরো আকাশ
ফিরে যাচ্ছ শীত, পর্ণমোচীর নিঃস্বতা
এভাবে আরো কিছুদূর পালিয়ে পালিয়ে
তোমার মুখ থেকে, চোখ থেকে মুছে যাব
মুছে গেলে, ঝরে গেলে, আরও নিঃস্ব হয়ে গেলে
কী হয়? হতে আছে? ভ্রূভঙ্গি নিয়ত বদলায়।
পালাতে পালাতে পা ফুরিয়ে গেছে…
গোল হয়ে থমকে আছি দলছুট মার্বেল
পৃথিবী ডুবে যাওয়া জলে আমি ডুবে যাই
কয়েকশ পৃথিবী আর একমাত্র ‘তুমি’ নিয়ে।