তিলোত্তম: সাত
কৃষ্ণচূড়ার ডালে বসা কাক।
ঘামে ভেজা রিকশাচালক খুঁজছে প্যাসেঞ্জার।
পেট রোদ বৃষ্টি বোঝে না।
নিজেকে প্রকাশ করলো বেহায়ার মতো।
আজকাল আমিও বেহায়াপনা করি।
গোঁয়ার্তুমি আমার নিত্যসঙ্গী।
জানি, ফিরেও তাকাও না কথামালার দিকে।
তবুও অপেক্ষা।
বৃষ্টির পানি ছাড়া চলছেই না,
অন্য সব নোনতা।
কথামালার কথা কেমন জড়িয়ে গেছে।
মুখ বুজে ঝিনুক হতে চাই।
তিলোত্তম: ছয়
খেলাতে নাকি খেলতে ভালোবাসো বুঝি না।
রহস্যামৃত তোমাকে শরত আকাশে দেখতে চাই।
নতুবা ঢাকার রাস্তায় ভেসে বেড়ানো কাশফুল।
রঙ্গন ফুলে কি ঢাকা পড়েছে হৃদয়?
খেয়ালি শরীরে বইছে দহন।
জংধরা হৃদয়ে ভালোবাসার গ্যালভানাইজিং দেবো।
আজকাল বড্ড বেশি দূষিত হয়ে গেছে বাতাস।
অমৃতকুঞ্জেও যায় না দেখা প্রকৃতিকে।
আমাদের দেখা বিজয়ে হবেই।
বিশ সেপ্টেম্বর
পাগল করা বৃষ্টি দেখেছ কখনো?
জানালার পাশে সুরমা বৃষ্টিকে চোখে জড়াতেই
শাশ্বত ধ্বনিগুলো ঘণ্টা বাজায় পাঁজরে।
এলোকেশী আমি বারবনিতা ছাড়াই সেলফি তুলি বিদ্যুৎ মোবাইলে।
পোজ দেই সরল স্মিতহাস্যে।
প্রিয়ার চোখের কাজল কি লেপ্টে গেছে খুব করে?
নাকি উঠে যাওয়ার ভয়ে এখনো বেচারি রাতে ঘুমাতে পারে না?
বৃষ্টির জলে ধুয়ে যাবে না তো?
তুমি বরং আজ প্রিয়াময় হয়ে যাও।
তুমুল বৃষ্টিধারা বয়ে যাবে হৃদয়ের ভেতর দিয়ে।
কখনো যেন চোখ স্পর্শ না করতে পারে।
সমুদ্রপুত্র চার
মিসেস মোরেল আর পলের বেস্টউডের ভ্রমণ নিঃসঙ্গ করে তুলছে আমাকে,
আজ যদি ঢাকার অচেনা গলিতে হেঁটে বেড়াতাম?
বুড়িগঙ্গার পাশে বসতাম পূর্বপুরুষদের সাথে,
কী কোমল সময় কেটে যেতো আমাদের!
অথচ ক্লাসে বিরক্তিকর বকবকানির পাশাপাশি পরিচিত মুখ,
কিভাবে সামাল দাও সমুদ্রপুত্র?
চলো, দুজনের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বেড়িয়ে আসি কোথাও।
অব্যর্থ মন
চোখের জলে ধুয়ে রাখি প্রতিদিনের অমীমাংসিত ইচ্ছেগুলোকে
দু’মিনিট, সারাদিনের শক্তি।
অভিমানী মেয়ের চোখে যে আজ স্রোত,
প্রতিকূলে হারিয়ে যাচ্ছে অচেনা তরী।
আলো কি প্রতীয়মান?