লাকঁর গণিত
ঘুমে মরে থাকে মরা মাছির শোক।
দেবদূত নেমে এলে প্রাচীন শহরে
লাকঁর গণিত অবোধ্য হয়—
পিতরের লজ্জিত মুখ রক্তিম ওড়নায় দোলে।
তার হলুদ চোখের তারায় ছলছল করে
বিদগ্ধ জোছনার ক্ষেত—
উন্মুক্ত অন্ধকারে মুগ্ধতা রেখো না
হে আকাশজাত, মুগ্ধ হয়ো না মৃত্যুর আগে—
কনিষ্ঠ আঙুল জন্মান্ধ হলে ঘুণপোকা খায়
অসহ্য বোধের স্বরাজ, আমাকে শুনিয়ে যায়
প্রেমের আত্মলিপি—মিছিলে সহস্র রোদের ঝাঁক
পায়রাগামী। তারা ডানা মেলে, সশব্দ উচ্চারণে—
পৃথিবীর ঘর ছেড়ে পালকের ওমে
লেপ্টে আছে সব নিবিড় জড়সড়ো—
আহত কাকের চোখে ভেজা চাঁদ ও শহরের গান।
তিমির পাখনায় রিকশার প্যাডেল
আকাশে লুকিয়ে ছিল তিমিপ্রাণ এক
তার নীল থেকে গভীরে, গোপনে গাঢ় সুখ
আরও ঘুম এনে দেয় পৃথিবীর তাবৎ
রিকশার প্যাডেল।
প্যাডেলে পুড়ে গোলাপি রোদের জল
পরিযায়ী পাখিদের ঠোঁটে লাবণ্যপ্রীতি বাড়ে
উদ্দাম দাঁতের গায়ে মাংসিক শব্দ
আমাদের ভেদজ্ঞান শেখায়।
বাঘেরপাড়ায় এখনো রাত পোহালে
ভয় নামে চরাচরে; শাপলার বন
তোমাকে নিয়ে যাবে
তোমারই অন্ধকারে—
ঘেন্নাফুলে তোমার পাপড়িবিহীন চোখ
পাখনায় খোঁজে রিকশার প্যাডেল
গ্রীষ্মের কোনো অমেয় দিনে,
একফোঁটা সুখে ক্লান্ত হতে চেয়ে
গভীরে ডুবে যেতে দাও—নীল প্রাণে
শব্দের চেয়েও যা কিছু গোপন;
চাকার ভাঁজে ইডিপাস সিনড্রোম
গলিত পিচের ইতিহাস বলে।
২০ জুলাই
কুইরেনহেইম,দণ্ডিত প্রতিলিপি
তোমার শহরে স্থির দাঁড়িয়ে আছে,
যেমন দাঁড়িয়ে ম্যাথাউসের ঈশ্বর
গভীরে লুকোয় ইহুদি চাঁদের ঘর।
২০ জুলাইয়ের শূন্য ময়দান
বালির ওপর আলো বিছিয়ে আসে।
দূর থেকে কোন শংসিত উপকূলে
ভিড় বাড়ছে, মৃত কাকেদের চোখে
ব্ল্যাক আউট এই শহরের ল্যাম্পপোস্ট
কার কার নামে শমন জারি করে
শোন—
উৎসুক কানে শিশুর আর্ত নিনাদ
ভেতর থেকে রক্তেরচাপ বাড়ে
কর্ষিত হাতে হৃৎপিণ্ডের গান
সিস কেটে আনে বাতাসের বুকে টান।
বুলেটের গতি আস্তিন ভেদ করে
বুকপকেটের একটুকরো ইতিহাস
কাঁদছে ভীষণ, যেমনি কাঁদছো তুমি
ঘরে ফিরবার তাড়া হচ্ছে খুব
ফায়ার! ফায়ার! ফায়ার!
কুইরেনহেইম তুমি প্রস্তুত আছ?