আমার প্রেম আমার কবিতা
প্রেম আমার কাছে নেশার মতো, কবিতার মতো। ডুবে থাকি, ঘোরে থাকি। এক বার একটি চ্যানেলের ‘তারকাপালে’আমার সাক্ষাৎকার নিচ্ছিল। তখন চ্যালেন আই-এর প্রয়াত সাংবাদিক মাহবুব মতিন সেখানে প্রশ্ন করেছিলেন,’দুলাল ভাই, আপনার ‘তবু কেউ কারো নই’-এর প্রেমের কবিতা পড়ে আমি এবং আমরা পাগলের মতো প্রেম করেছি। কিন্তু আপনার কবিতায় সেই প্রেম পাই না কেন?’
সেই কথাটি আজ পুনাবৃত্তি করতে চাচ্ছি-এখনো প্রেমের কবিতা লিখছি। নারী-প্রেম এখন বহুমাত্রিক মাত্রা পেয়েছে। এখন প্রেম জীবনের সঙ্গে, নদীর সঙ্গে, পাখির সঙ্গে, স্বদেশের সঙ্গে, প্রবাস যাপনে, সন্তানের সঙ্গে, অচেনা মানুষের সঙ্গে। আমার প্রেম এখন সর্বজনীন!
তবে ‘ভালোবাসা একটি সীমাবদ্ধ শব্দ’। তাই আগামীতে আমার পিরীতের কবিতা বের হবে। ভাবছি, নাম দেব- ‘ভালোবাসা একটি সীমাবদ্ধ শব্দ’।
এক মিনিট নীরবতা
তুমি কি ‘ভয়ঙ্কর’ ভালো লাগা আরেক রবীন্দ্রসঙ্গীত! খোলাজানালা দিয়ে আসা বাতাসের বোন, বুনো ঘ্রাণ? বিকেলের ক্ষয়ে যাওয়া ছায়া, ছিঁড়ে যাওয়া ছায়া, সেলাই করা ছায়া, আকাশের বারান্দায় ব্রা’র মতো ঝুলে থাকা এক চিলতে রোদের আঁচল?
তুমি কি সম্পর্কের ভেতর আরেক সম্পর্ক, ঝিনুক? কৌটার ভেতর প্রাণ ভোমর? তুমি কি ঘোরের ভেতর কবিতা; কবিতার ভেতর তৈরি করা আরেক কবিতা! ‘স্তনের ভেতর জড়িয়ে নিলে কাঁপতে থাকে জ্বর, মনের ভেতর জড়িয়ে নিলে বন্যায় ভাসে চর!’
নেশার টানে তুমি কি এক মিনিট নীরবতা? রতি স্খলনের বিদ্যুৎ-বিজলী? তুমি কি তোমার আকাশের দেশে মেঘের চাষ করো? শান্তির জন্য ছড়িয়ে দাও আঁচলের বৃষ্টিফুল!
আয়না
অদ্ভুত, অদ্ভুত কি অদ্ভুত এক আয়না!
ভেতর বিশাল আকাশ, তাই না?
যানজট নেই, শ্বাসকষ্টে আটকেনা ধম, জান।
ভেতরে কত নদী-নক্ষত্র, কত রাম রহিম রমজান,
কত নাম আয়শা, খুদিজা খাতুন!
আপনি কারিগর। তাদের মন দিয়ে মালা গাঁথুন।
মনে হয়, এ এক পাগলা গারদ।
আপনার আয়নার জন্য আমিও হয়েছি পারদ।
আমরা আত্মোৎসর্গ করেছি আয়না আর পারদে।
তবু তাহাদের তৃপ্তি নেই, ‘দে দে আরো দে’।
দূরদেশে জমে থাকি মাইনাস থার্টি ওরফে স্নো-বরফে
গলে গলে তৈরি হয় ধারাবাহিক ঝর্ণাধারা, জলের হরফে।
এই ধারাকে কুফরি মন্ত্রে ফিদা মকবুলের মতো ‘রাধা’ করি।
জমাই স্বপ্নের ঋণ, শখের শাদা কড়ি!
টাকা পয়সা
আমার আছে একটি নোটই
এই টাকাটাই বিশ্ব,
তা হারালে সম্বল শুন্য
একে বারে নিঃস্ব।
তোমার কত নানান পদের
খুচরো ঝিকিমিকি,
এক হারালেও ভাংতি থাকে
পাই আধুলি সিকি।