ঘুঘু ডাকা ভোর
এই বোধ স্তব্ধ রাতের গভীর থেকে উঠে আসা
কিছু আলোর প্রতিসরণ। কিছু আয়ুর শরীর থেকে
নির্গত হওয়া রক্তজবার মতো ঘাম, প্রতিবারই জন্ম দেয়
কতিপয় ঘৃণা আর কিছু অপরিমিত রহস্যের। তবু
কিছু লুপ্ত বেদনা নলখাগড়ার মতো জেগে ওঠে অক্ষরের
সিঁড়ি বেয়ে।
দৈবেরও থাকে কিছু বদ্ধমূল ধারণা—শুকনো রোদের মতো
কিছু অবলুপ্ত ভার। তোমার দোহাই লাগে, এই বুকে
এঁকে দাও গাঢ় পূর্ণিমার কিছু চাঁদ। একটা ভাঙা নাকের
ওপর ঘুমিয়ে পরুক অলস বিকেল। মুহুর্মুহু কলধ্বনিতে
সরব হয়ে যাক সকলের ঘুঘু ডাকা ভোর।
কড়চা
বৃষ্টি পড়ছে, অদূরে বাজছে শ্যামের বাঁশি
রাধিকা না চেনে সেই সুর, তবু বলে আসি
হন্তারক সে, তথাপি জীবনের সচকিত পাড়
ধরে বসে আছে শূন্য কিছু মানুষের হাড়!
এপাড়ে উৎসুক ক্রেতা, ওপাড়ে বড়ই সৌন্দর্য
জেগে থাকে পূর্ণিমা, বালুনদীর দুই ধার।
প্রেমগুলো বেঁচে থাক, মরে যাক মনোবিকলন চর্চা
দিনে দিনে পৃথিবীর কাছে যাচ্ছে বেড়ে বোধের কড়চা।
সময়ের ধূসর নির্জনতায়
বিকেলের সিঁড়ি বেয়ে হেলে পড়া রোদ
গড়াগড়ি খায় নির্লোভ রাতের অন্ধকারে
আর কুয়াশামথিত ভোর জেগে থাকে
সূর্যস্নাত নতুন দিগন্তের প্রত্যাশায়…
জীবন এক অসভ্য কালকুটের ফ্লেক্সিবল
নিষ্ঠুর পদাঘাত
এই বিপন্ন প্রতিহিংসা তবু তোমাকে শোনাবে
নিমজ্জনের গান
এই ভোর তবুও তোমাকে শুধরে দেবে বিগত
দিনের পৌরাণিক ইতিহাসের খসড়া
আকাশের গায়ে লেগে থাকা চিত্রল হরিণের
ছায়ার মত যে পাপ—তোমাকে আবারো খণ্ডিত
করে দেবে সময়ের ধূসর নির্জনতায়।