বসন্তের বনসাই
খোকা বড় হয়ে বনসাই হতে চায়। আমি খোকার বাবা।
অফিস শেষে ফুটপাত থেকে হুইস্কির খালি বোতল কিনি
প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাব না বলে।
প্লাস্টিকে সতর্কবার্তা:
পৃথিবী শোষণ করে সংখ্যালঘু।
মার্বেল পাথরের মেঝেতে লিখছে দিনলিপি
টাকিলা খাওয়া যুবতী।
হায়, আমি মরেই যেতাম
যদি না অফিস বানাতো আমায় বসন্তের বনসাই!
প্রশ্নকাব্য-১
তোমার বাড়ির পাশ দিয়ে যে যায়, সে-ই শোনে নাক ডাকার শব্দ।
রোজ দুপুরে কে ঘুমায় তোমাদের বাড়িতে? দাদি না কি দাদা?
তোমাদের পাড়ায় এত কুকুর কেন? কুকুরগুলো কী খায়?
তোমদের পাড়ার কুকুরগুলোকে নাটি-বিস্কুট খাওয়াতে খাওয়াতে
বানিয়ে ফেলব একদিন ছোট ভাই।
তুমি কি হাওয়ার শাড়ি গায়ে বেতফল হাতে দেখা করবে না?
তোমার জন্য লাগিয়েছি চাঁদের মাঠে মশলাবনের সুগন্ধগাছ।
ডানাকাটা শূন্য
মধ্যরাতে সৌন্দর্যরাক্ষস কড়া নাড়ে দরজায়।
লেখে ভার্চুয়াল বার্তায়,
‘আকাশে উঠেছে মস্ত চাঁদ, বাইরে আয়’।
জানলা খুলে বাইরে তাকাই।
ডানাকাটা তারায়
ভলিবল খেলে ডানাকাটা শূন্য।
ইন্দ্রিয় তৃপ্তির নেশায়
চাঁদের গায়ে কামড় বসাই।
বিক্ষিপ্ত এক সৌন্দর্যরাক্ষস
ডিগবাজি দিয়ে চিৎকার করে,
‘বাঞ্চোত চাঁদটা কামড় খেয়েছে। কামড়।’
আমি ভুলে যাই মহাশূন্যে আমার গ্রহের ঠিকানা।