সততা
পান্তা ভাতে নুন মেখে খাওয়ার গল্পটা এখনও ফুরোয়নি
গ্রাম-মহল্লার অলিতে গলিতে কাকতাড়ুয়ার মতো
দাঁড়িয়ে থাকে মোবাইল টাওয়ার
ফুড ব্লগ, ফ্যাশন পেইজ এখন হাতের মুঠোয়
অদম্য ইচ্ছেশক্তি অপারগতার দেয়াল ভেঙে ফেলে
পুকুরে খাবি খেতে খেতে ডুবে যায়,
আধুনিকতার দেউড়িতে দাঁড়িয়ে সততা এখন স্বপ্নদোষ
গলার ভেতরে ফুলে ওঠা টন্সিল
টাইমলাইনের পেছনের গল্প
আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো ভায়োলিনের করুণ সুর
কিংবা উন্নয়নশীল দেশের অদেখা ডলোমাইটস।
ঠোঁট ও উদ্ভ্রান্ত বিকেল
তড়িৎ বেদনায় ভূমিক্ষয় হতে হতে স্বপ্নের বেলকনিজুড়ে
কালসাপ সাজানো থাকে থরে থরে
ধোঁয়া ওড়া উদ্ভ্রান্ত বিকেল পত্রস্থ হয়
রেডিও টেবিল কিংবা রমনার বিছানো ঘাসে
কবিতা পড়া ঠোঁট ভাঁজ ফেলে যায়
হৃদয়ের চৌকাঠে মোচড়ানো অনুভব
মুগ্ধতার চাবুক ফেলে চোখের মধ্যম রেখায়
ডুবে যাই বসন্ত ক্যাফেইনে
চকচকে ফয়েল পেপারের মতো আব্রু আমার
বাদামি স্বপ্ন ঘিরে চিটে ধান বুনে বক পাখির মতো
সেই প্রজাপতি দিন,কুয়াশাচ্ছন্ন বিকেল, লাল শার্ট হাসি
রাত বারান্দার পোকামাকড় জীবন, এক বেলার পাথর দৃষ্টি
সুনীলের কবিতা আর নীলমদের গান
ধনশালীদের পোর্সেলিনের প্লেট ছুঁয়ে গড়িয়ে পড়া কবিতার ঠোঁট
আমার শরীরে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝরায়।
খোলস
চারদিকে গিরগিটির অগণিত আনাগোনা
মানুষ মানুষকে নিক্ষেপ করে মারকুপে
লাঞ্ছিত পৃথিবী প্রয়োজন শেষে ঠেলে দেয় ভাগাড়ে
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় শিশুরাই ভুলে গেছে খেলা
চেতনার বুকে বিষ
মার্কুইস মিশাইল ললিপপের আকারে ঘুরে বেড়ায়
উদার উন্নয়নে এদেশের মানুষ এখনও অবুঝ
আপাদমস্তক ঢেকে দেয়া স্বাধীনতা-বালতিতে ধুয়ে জল খায়
বিনিময়ে প্রতিবেশী থেকে ও বেশ কৃপণ
অপার শস্যদানা খেয়ে যে পাখি ঘরে ফেরে
সেও কৃতজ্ঞ গুণে ভরা মৌসুমে আবার জন্মায়
কিন্তু মানুষ জন্মায় না
পশু হয়ে ঘুরে বেড়ায়, এপাড়ায়-ওপাড়ায়
সুবর্ণ সুযোগে গেঁথে দেয় হিংস্রতর নখর।