বৃষ্টি
বৃষ্টির ধমকে আমাদের প্রথম ঘনিষ্ঠতা।
বেহায়া বৃষ্টির কাছে হার মেনে
একদিন রিক্সার ছইয়ের ভেতর
শরীর লুকাই।
আহা! প্রতিটি বিকেল যদি বৃষ্টিময় হতো!
সম্পর্কের উষ্ণতা রক্ষায়
কে পোড়াত এত কাঠ-খড়!
আজকাল তোমার কথা মনে হলে
আমার আঙিনা জুড়ে বৃষ্টি নামে
থই-থই জলে পা ডুবিয়ে
দৌড়ে আসে রিক্সার দঙ্গল।
নৌকাকাণ্ড
দুধের পসরা কাঁধে কারা যায় যমুনার ঘাটে?
এপারে কদমতলি, বৃন্দাবন–ওপারে মথুরা।
গোকুলের গোপিনীরা একসাথে নদী পার হবে।
ওলো মাঝি, কেন এত ছোট তোর তরণীর গুড়া?
ভাঙা নায়ে হাল ধরে বসে তুই কোন ঘাটিয়াল?
শুধু তোর চোখে লাগে রাধিকার সোমত্ত শরীর–
এই পাড়ে লীলাসখী সমবেত পারের আশায়
মিলনের সুখে দোলে যমুনার জল তিরতির।
কে গো তুমি ভাণ্ড হাতে মূর্তিমতী মরণবিলাসী,
আমার হৃদয়গাঙে ঝাঁপ দাও শুভ্রা অনামিকা
ননীচোর কানু আজ দুঃসাহসী পারের কান্ডারি
ডোবে নৌকা, মধুভাণ্ড, ডোবে না রাধিকা।
ঠিকানা
তোমার ঠোঁটের কাছে
আভূমি আনত আজ আমার হৃদয়
এই তো সুখের ছোঁয়া, বেদনার আর্তধ্বনি
. রুদ্ধদ্বার ঘরে।
কেউ তো গড়েনি এসে নির্বিকার প্রতিরোধ-ব্যূহ
কেউ তো ভাঙে নি এসে মোহঘুমঘোর।
তাহলে কি এভাবেই দিন যায়,
. রাত আসে,
. নাচে মহাকাল?
আমরা চেতনা খুঁজি সময়ের কাছে
নতুন সুখের মোহে ছেড়ে যাই
. ঠোঁটের ঠিকানা।