রেসের ঘোড়ার মতো সন্ধ্যা নামে
রেসের ঘোড়ার মতো সন্ধ্যা নামে
নৈঃশব্দ্যের ঝড়ে ওড়ে কারও তীক্ষ্ম চোখ
বিষাদ লুকিয়ে ছুটে চলি তার দিকে
সময়ের কাছেই গচ্ছিত রাখি
ক্ষতদীর্ণ যত দীর্ঘশ্বাস।
বলি আমি—
এই মৃত্যুগন্ধা বুকের ভেতর
স্মৃতির কফিন জুড়ে অহোরাত্র
বাজাও তোমার বিচিত্র খেয়াল…
অথচ,
রাত শেষে নিশ্চিত প্রত্যুষ
ভেঙে যায়-রঙের উৎসব।
শূন্যতায় ডানা মেলে
দেহের আশ্রয় থেকে উড়ে যায়
বাতাসের শব,
তাকে বলি: যাও—
শূন্যতায় ডানা মেলে-বেদনা ওড়াও;
তবু, মায়া যেন তার পাহাড় সমান
ফেরে দিগভ্রমে,
ফের বলি: আসো—
যুগপৎ নির্বাণের বসতি সাজাও!
শিল্পের আগুন নিয়ে
শিল্পের আগুন নিয়ে খেলতে খেলতে
অহেতুক বৃষ্টিপাত দেখি নিজের ভেতর
ভাঁজ হয়ে থাকা সেলিব্রেটি ভুলগুলো
ভিজে যায় আপাদমস্তক!
আমরা ভিজতে জানি, ভেজাতে শিখিনি
পোড়াতে জানি, শিখিনি পুড়তে
পুড়ে পুড়ে খাঁটি সোনা, এই বাণী
জীবনের অন্যতম রঙ্গ এখন…
শিল্পমাত্র অসার, অযৌক্তিক! এসব ভাবনা
মাঝে মাঝে হেঁটে যায় বৈদ্যুতিক তারে!
কালক্রমে
কাঁধে সময়ের দাঁড়;
টেনে চলেছি বর্ণ ও গন্ধের উজানে
অগণন ইশারায় উড়ছে সন্দেহের ঘুড়ি।
আর—
একফালি শীর্ণতোয়া নদী, বয়ে যাচ্ছো তুমি
ভাদ্রের তরুণ হাওয়ায়।
পড়ন্ত বিকেলের আলো-মেখে হাসছে কেউ
দূর পথে…
জ্যোতির্ময় পৃথিবীর পথে
মন্দ্রিত বাতাসে ফের, আসে ফিরে কুয়াশার ফণা
আকাশ মথিত করে-অকাল শ্রাবণ;
অথর্ব কালের চোখে জাগে তবু বেদনার ফুল
পৃথিবীতে তুমি-আমি-অদৃশ্য যখন।
হেমন্ত দিয়েছে ফাঁকি, অলক্ষে উড়ছে সেই সুর
বিষণ্ন সন্ধ্যার কোলে—
ছায়াহীন মায়া;
নিভন্ত সূর্যের মুখে ছড়িয়ে শোকের রূপ-রঙ
মৃত্তিকার গন্ধ নিয়ে—
ব্যর্থ মরীচিকা।
মানুষ ফুরিয়ে যাবে একদিন মুদ্রাদোষে ভেসে
রীতিনীতিহীন বেশে জ্যোতির্ময় পৃথিবীর পথে।