টেবিলে নীতিনির্ধারকের পক্ষপাত
হে রঙ্গহীন অন্ধ পৃথিবী, কর্নিয়া খুলে তোমাকে দেখাব বর্নিল শুকতারার মিছিল।
জল আর যৌবনের ক্যাফেটেরিয়ায় আলোর নিমন্ত্রণ;
এসো সন্ধ্যার সভায় আলিঙ্গনে শোকাহত হই নরম বিছানায়
উরুরভাজে মাথা রেখে চুমুতে উর্বর হোক বিশ্বদেশ।
প্রেমের প্রার্থনা
সূর্যের বগলে গিটার বাজিয়ে অপেক্ষার বৃষ্টি নামল কিষাণের চৌচির মাঠে—পুড়তে থাকা মানুষের পাকাফলে; জারুল জলের ঘ্রাণ নেচে উঠবে দ্বিগুণ গাণিতিক নিয়মে; ফর্মুলা ওয়ান তারকা প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হারিয়ে জৌলুস আগুনে ছাপ্পান্ন হাজার তড়িৎ তার পৌঁছে দেবে বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যার কথা। এরপর প্রবল প্লাবনে পাহাড়ের মতো ভিজতে থাকবে অপরিচিত শহরের প্রেমিকযুগল। বস্তির বন্ধ খিল খুলে হাসতে থাকবে সাবেক মাস্তান। প্রেমিক আহত বাঘের হুঙ্কার থামিয়ে ওড়নায় জমাতে থাকবে অসংখ্য শীলখণ্ড…
এরপর বৃষ্টির কলার জাপটে গোপন আলাপে কাটাবে ভগ্নাংশ দিনের জ্যামিতিক পাণ্ডুলিপি। প্রেমের উজ্জ্বলতায় পৃথিবীর সৌন্দর্য বাড়তে থাকলে আগুনের প্রতাপ অপ্রয়োজন।
বর্ষা আমার প্রেমিকার নাম
বর্ষাকে গ্রাম থেকে নগরে এনেছি চা-বিস্কুট আপ্যায়নে
করপোরেট ভোর ভাঙিয়ে
জ্যামের ক্লান্তি এক ধাক্কায় রাজনৈতিক টেবিলে।
বর্ষা অতি প্রাচীন প্রেমিকার নাম
যার শীতল জলে ক্লান্তি ঢেলে
চুমু খেতে খেতে বিষণ্নতার মানচিত্র এঁকেছি;
দুধ দিয়ে নগরের তৃষ্ণা মেটে; বুড়িগঙ্গায় যৌবন।
বর্ষার প্রিয় ফুল কদম। কদমের পাপড়িগুলো আলতো আঙুলে ছুঁয়ে দিলে—
অষ্টাদশী নারী ভুবন ডাঙ্গার বিল থেকে হাতের খেলনা হয়ে—
ঘুমাতে আসে পাশের বালিশে।
বর্ষাসঙ্গমে হই মেঘ ও বৃষ্টির জনক;
সন্তানদের ক্লান্তি চোখের সারিতে রেখে
বিশ্রামে বিশ্রামে সুখময় অসুখ।
খেলারাম খেলে যা
ওঁৎ পাতে সভ্যতার সংকট; চারপাশে আগুনের ছায়াঘর;
কলোনির কলঙ্ক বারবার দুধজল হলে
মিয়া বিবির শাড়ির জমিন বিক্রি সাতদুপুরে;
বেফাঁসে ফাঁস যুবতীর মার্জিনে মন্তব্য।
ভিটেমাটি শূন্য বংশের বৃদ্ধাঙুল
চুষতে চুষতে কবরপাড়ার পাঠক; নষ্ট কলকব্জা।
আগুনে সেদ্ধ কাঁচকলায় ভেটকি স্বাদ
বামপাজরের সুড়ঙ্গ বিলায় নাসিরালয়ে।
ক্ষমতার গুদামঘরে জমা স্পার্ম,
আশিতে রাক্ষস যুবক তেলজ্ঞানে
প্রথম হওয়া সুযোগ্যছাত্র;
ভার্সিটি পাস নায়িকার সুপাত্র
পতিতাপাড়ার অতীত ভাই;
বিলাস ঘরে হারামজাদা,
শাহাজাদা, খেলারাম খেলে যা!