ছায়ারা গিলে খাবে ঈশ্বরের মুখ
আমিও কি লীন হবো একদিন,
তুমি কি ভয় পাও অনস্তিত্বে; কিম্বা ঈশ্বরও! এ কেমন প্রশ্ন!
অবান্তর এসব জেনেও যদি পৃথিবীর সব মানুষ একদিন হয়ে ওঠে ছায়া;
মানুষের অথবা অসীমের…
একজন মানুষও যদি ক্ষুধার্ত ফিরে আসে
তার হাহাকারের রূপ দেবো আমি, আমরা অনস্তিত্বের ছায়ায়।
প্রত্যেকেই রূপান্তরিত হবো একেকজন ছায়া শিক্ষকে,
গাইব না আর কোনো স্বাধীনতার গান নিঃস্ব কণ্ঠে।
সকলে মিলে পৌঁছে যাবো বড় রাস্তার ধারে
যেখানে শুরু তোমার প্রাসাদের সুদীর্ঘ পথ…
মৃতেরা অদৃশ্য বলে তোমার প্রাসাদের সুসজ্জিত রক্ষীরা দেখতে পাবে না ছায়াগুলো
চাবুকের আঘাতের মতো তোমার তীব্র কণ্ঠস্বর শুনতে পাবে না তারা কোনোকালে;
তোমার সুরাপান-কক্ষের মসৃণ আর ধবধবে গালিচাটা তারা টুকরো টুকরো ছিঁড়ে নেবে
তাদের কোনো চোখ নেই;
নেই কোনো কান;
নেই কোনো মুখ।
তোমার আশীর্বাদে রূপান্তরিত জীবনে তাদের নেই কোনো ঘর, সমাজ, ধর্ম।
তাদের বড় পরিচয় তারা নিঃস্ব, অস্তিত্বহীন। একদিন তুমিও…
তাই তারা নির্ভয়
মস্তিষ্ক ছেড়ে জায়গা করে নিয়ে তোমার পাকস্থলীতে
ঘাড় মটকে দেওয়ার অপেক্ষায়;
তোমার, আমার এমনকি ঈশ্বরেরও…
ঈশ্বরও একদিন ভয় পাবে অনস্তিত্বের ছায়ায়
ছায়াগুলো ততদিন শিল্পের শিক্ষক
রচনা করবে নতুন কোনো শিল্প…
একাকিত্বে ধাই
পরক্ষণেই
সকলের শরীর থেকে নব ঘ্রাণ
মৃত শরীরের গন্ধ
নজর এড়ায় না কারোর-ই ,
চলতে থাকা দিন, ক্ষণ, সময় এগোয় মসৃণতায়।
ভারী হয়ে আসা শরীর; শক্ত চোয়ালে
নব চরিত্রায়ণে বেঁচে থাকে শবদেহে!
এ এক নিপুণ খেলা;
দুরন্ত এক মতবাদে কোরাস হয়
যদি নিজেকে ভালবাসো; অনুসরণ করো।
মাতৃগর্ভেও এমন বানী পরিণত হয় বিশ্বাসে।
আমি অনুসরণ করি তোমাকে,
তুমি তাকে,
সে অন্যকে,
প্রত্যেকে প্রত্যেককে।
ঘটতে থাকা মায়াবী ম্যাজিক…
এসো ফ্যাশনেবল হই
ভারী হয়ে আসা শরীর; শক্ত চোয়াল;
ভাষাহীন মুখে অনুসরণ করি
অদৃশ্য নির্দেশ;
নিজের মতো হতে না পারার বেদনা এড়িয়ে
মতবাদের নতুন সংজ্ঞা শিখি
-অন্যকে অনুসরণ করার নামই স্বপ্ন
অনুসরণ করি শবদেহে
পৃথিবীর ভবিতব্যের পথ;
দুহাজার পঞ্চাশ, নয় শ কোটি মানুষের নয় শ কোটি ঘরে
একাকিত্ব বসবাসে…