চুপিসার
তোমার চারাগাছ অথবা জানালা
হতে চাইলাম একদিন,
আমি কী রকম ভালো আছি;
একবার দেখতে, বারবার দেখতে,
ঠোঁটের কাছে ঠোঁট এনে
একবার হলেও দিতে ফুঁ!
হয়তো কেপে উঠতাম; হয়তো এলোমেলো…
এই হয়ে ওঠা আর কই হলো!
ভণিতা
খরগোশের পিঠে যেদিন সূর্যটা হেসেছিল খুব;
আমার কেমন ইচ্ছে হলো সামদ্রিক শামুকের মতো
হেসে খেলে তোমার পা ছুঁতে, ছায়াবীথি সব
টুকরো টুকরো অলস দুপুর, নষ্টপাখি;
এই বুঝি—গারদ করেছ সুমেরুর সমুহপথ!
বেকার বিকেলটুকু আমার জন্য শান্তি নিয়ে আসে;
এক চোল দুঃখের দিন কবিতায় রাখি ভরে—
তুমিও যখন ভাদ্রের রোদে পুড়িয়ে দিলে আমাকে
তাবৎ প্রেমও হয়ে গেছে নিখিলের পাপ…
মাঝি
শরীরে যেদিন সাঁতার কেটেছিল মাটির মাছ, গোসা করেই সূর্য নিয়েছিলাম হাতে।
দুপুরের মাকে কাঁদতে দেখেই বয়ে গিয়েছিল বেলা—
হাঁসেরা বাড়ি ফেরেনি, আমার যাওয়া হয়নি শিকারে।
নদীর নখে বসে পার করেছি যে ক’টা দিন,
জলের চোখ খুলে হেঁটেছিলাম পাহাড়ি ময়ূরের খোঁজে,
মনের নৌকোর বাদাম খুলে গুলতি টেনে টেনে পৌঁছে গিয়েছিলাম পারে,
ঢেউয়ের ঘুড়ি কানে কানে শুনিয়েছিল—সব ভালো থাকা নয় এক!