একটি বাংলাদেশ
একটি ছবি এঁকেছি মানুষের
প্রথমে চোখ
তারপর নাক ও মুখ
মাথায় বসানো হয় ঘনকালো চুল
সেখানেও সিঁথি কাটা।
সরল গ্রামের মতো হাত ও গ্রীবা
আঙুল ও নখ…
আস্তে আস্তে আপাদমস্তক মানুষ
মেয়ে মানুষ
দেখতে সুশ্রী হলেও মুখে ঝোলানো তালা।
ব্যর্থ হলো লোভ সংবরণ করতে
পরিচিত ইতর প্রাণীরা
প্রকাশ্যে একদল ধর্ষণ করছে
অন্য দল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে…
চার নম্বর মৃত্যু
মানুষের হাতে খবরের কাগজ পৌঁছার পূর্বেই
অস্বাভাবিক মৃত্যু হবে—আমার
প্রবল বর্ষণের দিনে
ধুয়ে-মুছে যাবে নরকের ঘ্রাণ
টিনের চালে দারুণ বৃষ্টি-শব্দে যখন আহত ভ্রূকুটি চর্তুদিক
আনন্দে উদ্বেলিত আমার তৃতীয় স্ত্রী
পরকীয়া প্রেমে মজবে
এরপর রাজকোর্টে বিয়ের মামলা করবে
মৃত্যু সংবাদের পরিবর্তে—
মাইকে নির্বাচনি প্রচারণায় নামবে মুয়াজ্জিন
ততক্ষণে আমার ঊর্ধ্ব উপার্জন ভাতের প্লেটে নিয়ে
খেতে বসবে প্রথম স্ত্রী
দ্বিতীয় স্ত্রী গর্ভপাত ঘটিয়ে বলবে
খোদা আমাকে তোমাকে বেশ বাঁচা বাঁচিয়েছে
অসাধারণ অমঙ্গল থেকে
সমীক্ষায় দেখা যাবে,
তিন স্ত্রী মিলে মোট চার বার খুন করলো আমাকে!
মা
মেঘ থেকে ছিটকে পড়া বৃষ্টির হাহুতাশ নেই
. কোনোকালের পাঠ্যবইয়ে
ক্লান্ত সময় হারিয়ে যায় পাহাড়ি ধূলায়।
এক চিলেকোঠা সন্ধ্যায়—সাগরের পেট থেকে
অস্থিমজ্জা আর রক্তপানি নিয়ে
. মাসিদের মজলিশে
. ভীষণ ভাবছি…
রাতের শিথানে চেরাগ নিভিয়ে দিয়ে দরদি গলাটি
অন্ধঘরে আলোর স্নেহ ঢেলে বাড়তে দেয় মাল্টিবাগান;
সমুদ্রের দুই তীর ক্রমান্বয়ে ফুলে ওঠা বোধের উঠোন
মোম হৃদয়ের গহীনে লুকানো সুতা জ্বালিয়ে—
আলো দেয় আমাদের স্নেহময়ী মা…