ঘ্রাণটুকু যায় রয়ে
আমাদের পথ দুই দিকে যায় বেঁকে
বনের ভেতরে কেমন উদাসী একা
হয়ে চলে যায় অগনিত স্মৃতি রেখে;
কখনো কি আর হবে আমাদের দেখা
কখনো কি আর হবে আমাদের দেখা
দক্ষিণ থেকে বাতাস আছড়ে পড়ে
পাতাদের গায়ে, দূর দিগন্ত রেখা
ধরে এক ঝাঁক পাখি যায় দূরে ওড়ে
কখনো কি আর হবে আমাদের দেখা?
রোদ হয়ে গেছি জানালার কাচ ছুঁয়ে ;
সব মিলনই বিরহের অপঘাতে
শেষ হয়ে যায়, ঘ্রাণটুকু যায় রয়ে
আমাদের পথ হয়ে যায় দুই তারা
দুই দিকে বেঁকে চলে যায় দিশেহারা
প্রজাপতিঘুড়ি
আমার যে হাতে ছিলো ঘুড়ির নাটাই
আমি সেই হাতটাকে গুটিয়ে নিয়েছি, আর
সুতো কেটে দিয়ে তাকিয়ে রয়েছি ঘুড়িটির দিকে।
দেখছি, ঘুড়িটা ঠিক প্রজাপতি হয়ে গেছে
প্রিয় প্রজাপতিঘুড়ি, তুমি কেন সারাক্ষণ চারপাশে ওড়ো?
তার কথা ভুলে যাও
পেছনে যে পথ রেখে এসেছিলে পথে
. তার কথা ভুলে যাও
হয়তো সেখানে কোনো উদ্যান ছিল
ঝর্ণার ধারা ছিল
দখিনা বাতাসে পাখিদের কলতান
রূপালি আলোয় ফড়িঙের ছিল গান
এত মুগ্ধ যে ভুলতে পারো না স্মৃতি!
. সেই পথ ভুলে যাও
পেছনের পথ পেছনেই পড়ে থাক
আসলে ওসব তোমার ছিল না কিছু
উদ্যান নয়, ঝর্ণা ধারাও নয়
. তার কথা ভুলে যাও
যে হাত তোমার নয়, যে বনে কখনো
তোমার নামটি ধরে কোনো পাখি গান করে নাই
যে চোখ স্বপ্ন দেখেনি তোমাকে নিয়ে কখনোই
. তার কথা ভুলে যাও
ওই বুকে তুমি ছিলে না কখনো
তার ভাবনায়, ঘোর লাগাকালে
ফিরে ফিরে তুমি আসোনি কখনো
. তার কথা ভুলে যাও
বরং যেটুকু এখন তোমার আছে
বুক খুলে তাকে কাছে টেনে নাও
সারাটা পৃথিবী তার হাতে তুলে দাও