দুধের সর
তুমি বিষধর গোখরার মতো সুন্দর
অথচ সুন্দরবনের সুন্দরী বৃক্ষের মতো মমতাময়ী
তোমার ছোবল কিংবা শীতল ছায়া
কোনটা পেতে কোনটা হারাই
সে ভাবনায় তোমায় নিরাপদ দূরত্বে ভালোবাসি
যতটা দূরত্বে কোনো ফল—ফুলকে ভালোবেসে
. বড় হয়ে ওঠে
কোকিলের লাল চোখ ও কাকের নীল ডিম
তোমাকে মনে করার মতো
আর কোনো মন অবশিষ্ট নেই
এ যেন তুমি বাংলা স্বরবর্ণের লি-ই কার
কোনো ধ্বনি বা শব্দে যার ব্যবহার শূন্য থেকে শূন্যতম
কিংবা গভীর কুয়াশায় হেঁটে চলা তোমার পায়ের ছাপ
ডিম থেকে বাচ্চা পেতে হলে বুকের উত্তাপ প্রয়োজন
অথচ তুমি বরফ ভালোবেসে ঘুমিয়ে রাখলে শিশু পৃথিবী
আর আমার মনের মাঝে ঢুকিয়ে দিলে খনি গর্ভের অন্ধকার
ভগ্নাংশে আমি ইঁদুর দাঁতে খনন করে চলেছি তোমার মনোখনি
তবু তোমার মুগ্ধতায় মুখ ধুয়ে দেখেছি
শ্যাওলার সবুজ গন্ধে ভরে গ্যাছে আমার ঋগ্বেদের ছোট্ট দিঘি
অবশেষে ডান হাতের বুড়ো আঙুল হারিয়ে ভেবেছি
একটি অঙুলের মৃত্যু মানে—একটি হাতের মৃত্যু নয়
ঘোর
যারা এখানে একদিন প্রেমিক সেজে এসেছিল
তারা আজ অন্তরীণ—জলের সংসারে
জল যেভাবে ডোবায় ফসলের ক্ষেত
তারও অধিক ডোবায় ব্যর্থ প্রেমের চক্ষুপুকুর
যেমনি ডুবে থাকে ধুকপুক বুক নিয়ে অপ্রকাশিত কবিতার খাতা
আমার যে হাত তোমায় আঘাত করে
সে হাত আজ অভিশপ্ত হোক
বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যাক আমার প্রণয়কুটির
যে কুটিরে তোমার উজ্জ্বল হাসির শব্দ নেই
সে কুটির হোক সাপ ও ব্যাঙের সন্ধিস্থল
তোমার যে স্পর্শ আমার শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়
আজ সে স্পর্শ হোক হিমালয়ের মতো শীতল
কিংবা মরুভূমি জয়ের মতো উষ্ণ