০১.
লিখেছি ঘুমের পদ্য। ঘুম নিয়ে চোখে
অদৃশ্য জগতে তুমি অদেখা বালিকা
আকারে-ইঙ্গিতে আর আধাঁরে-আলোকে
জ্বালো তুমি অনন্তর রজতের শিখা।
০২.
সন্ধ্যা নামে চরাচরে তোমার স্মরণে
আধাঁরের হাত ধরে আমার শরীরে
ঘুম আসে ক্লান্তপায় বৈচিত্র্য ক্ষরণে
প্রথম বসন্ত রাতে ধীরে অতি ধীরে
০৩.
অতপর গোধূলিরা মিশে তার চুলে
প্রকৃতি যেমন সাজে বসন্ত গহীনে
যুবতী ঋতুর খেলা দৃশ্যমান ফুলে
দূরে যাও তন্দ্রা তুমি ফাগুনের দিনে
০৪.
এমন বসন্ত বায়ু বহে যায় ধীরে
পৃথিবী পরেছে গায়ে বাসন্তী পোশাক
জেগে থাক চোখদুটি চোখের গভীরে
ঘুম নয় এ আনন্দে সম্মুখে বৈশাখ
০৫.
সুঁচালো নাসিকা আর সরু কটি দেশ
আকাশ রহস্যে ভরা নীল আঁখি তারা
চুলের জমিনজুড়ে গাঢ়ো কালো কেশ
সর্ব অঙ্গে ঘুমচিহ্ন ঘুমে এক হারা
০৬.
পৃথিবীর এ গোলার্ধে বসন্তের লাল
তুমি এক কুম্ভকর্ণ ঘুমে হও নীল
রঙের উৎসব চলে সকাল বিকাল
ঘুম নয় খুলে দাও দুচোখের খিল
০৭.
কখনো ঘুমের চাপ কখনো আবার
ঘুমহীন সারারাত আঁখি পটে খরা
ঘুম সহোদরা তুমি রজনী তোমার
আমিতো নির্ঘুম থাকি ঘুমেরা অধরা
০৮.
এখন বাজিছে দেখ চারের ওপর
চরাচর তন্দ্রালস রাতের প্রহরী
দুচোখে ক্রমশ বহে আক্রোশের ঝড়
তুমিতো কাছেই নেই ওলো সহচরী
০৯.
ঘুমেরও দুঃখ আছে হারানোর ভয়
আছে প্রাপ্তি আছে সুখ বিরহ বেদনা
চাঁদের মতোই অতি ধীরে তার ক্ষয়
তবুও ঘুমের দেবী আঁকে আলপনা
১০.
তোমার দুঃখের কাছে ঘুম পরাভূত
পরাভূত শুধু তুমি নিয়তির কাছে
তোমার সকল দুঃখ অজানা অশ্রুত
সব দুঃখ পড়ে থাকে আনাচকানাচে
১১.
কেন তুমি তন্দ্রাহীন কিসের বিরহ
কাহার তাণ্ডবে কাঁপে রাতের শরীর
কেমন উত্তাপ আহা অগ্নিখরদহ
কুলে বাঁধা দেখি সেই দুঃখের তরীর
১২.
তোমার প্রতীক্ষা যেন ধনুকের তীর
ঘুম ঘুম আঁখি নিয়ে সড়কের দ্বীপে
ক্লান্তি এসে দিচ্ছে হানা বিমর্ষ শরীর
ঘুম স্রোতে ভেসে যাই শুষ্ক অন্তরীপে
১৩.
এসো এসো প্রিয়তমা বাধা-বিঘ্ন ঠেলে
এ যেন ঘুমের দিন। ঘুমিয়েছে ধরা
জীবন জীবন নয়। সব হেসে খেলে
বলে গেছে এই কথা ডাকহরকরা