গুমর
রোদের বদলে আজ ফুটে আছে মেঘফুল, তোমাদের আকাশে—
ধূলারঙ সন্ধ্যা কেটে যাবে আলগোছে
রাত খুব ভারী হয়ে আসেন, তোমাদের সমাজে—
নতজানু, ফিসফাস
গুমরে গুমরে যাস দখিনা বায়ু—
তোমার তুমিটি আজও ওঠে না তো জেগে আর
তোমাদের হারানো-ভোরে—
গানের বদলে আজ কিভাবে বাঁশি এলো
লেখা শুধু জীবনের শিসে—আহা এই কারুকাজ!
বেলা ও বিনাশে আঁকা, নতজানু ফিসফাস
গুমরে গুমরে যাস দখিনা বায়ু—
আফসোস
যৌবনের শুরুতে একটা ‘গ-ভী-র-বোধ’ তৈরি হতে থাকে—
খেলা শেষ হলে, অতঃপর
বার্ধক্য আসে
মাঝখানে ঢুকে পড়ে হেমন্ত-শরৎ—
বর্ষার ক্ষত ভিজে ফুলে ওঠে!
বহু-বিদ প্রাণ জেগে আছে, তবু
আমাদের চারপাশ দূরতম লাগে—
সব ভুলে যেতে পারি হয়তো বা
যৌবনের ‘গ-ভী-র-বোধ’টা কোনোদিন ফিরে এলে
কী হবে জানো না তুমি
আমিও জানি না শুধু—আহা!
কী গভীর! কী আশ্চর্য গভীর!
যৌবনেও ছুঁতে পারিনি তাঁকে—
যৌবনের শুরুতে একটা ‘গ-ভী-র-বোধ’
তৈরি হতে থাকে—
নিজেদের ইতিহাসেই অন্যসব ইতিহাস
নিজেদের রঙ নিয়ে বয়ে যেতে থাকে
আমাদের সামান্য ঢেঁকি-ভাঙা ধানের
গল্পও থাকবে সেখানে—
যৌবনের শুরুতে, কী করলে নিজেদের
অণিরুদ্ধ ক্ষমতা সামান্য আরেকটু এগিয়ে নেওয়া যেতো,
ভবিষ্যৎ জানতাম না, এখনো তো জানি না
তাই কিছুতেই তুলনায় মন টানে না—
ঘটনা ঘটার আগে জানার উপায় নেই কোনো?
যৌবনের শুরুতে একটা ‘গ-ভী-র-বোধ’
জটিলভাবে তৈরি হয়ে ছিল—
স্বদেশ—স্বগৃহ—স্বগ্রহ
আফসোস গেলো না—
চিন্তা, তোমার বয়স যেন কত?
যেন কোনো শিল্পী
পেঁজা ভেজা ছাইরঙা
ঘণ ও তরল—
মেঘ দিয়ে সাজিয়েছে যত কথা
সমস্ত দিন-রাত
আকাশটা ক্যানভাস তার—
মেঘেদের কাজ শুধু
উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে
পৃথিবীকে ভিজিয়ে দেওয়ার—
নদীর কাজ নেই আর
ঘুরে ঘুরে এঁকে-বেঁকে সাগরে যাওয়ার
রাস্তা জানে না কোথায় গন্তব্য তার
তবু কত রহস্য জমিয়ে রাখে বুকে
যেন এই পথে সব মেঘ ওড়ে যাবে—
আকাশ আয়না হলে তোমাকে দেখা যাবে?
তুমি বড়ো স্বঘোষিত?
তুমি বড়ো নাজুক?
তোমাকে দেখলে যদি ভেঙে যায় বুক,
পাহাড়ও কাঁদুক—