॥এক॥
জন্মেছি ব-দ্বীপ অঞ্চলে
আভাময় অরুণিমাতলে…
এইখানে সারাবেলা হৃদয় কী কথা বলে?
এত সকরুণ কী জ্বলে শ্যামল জলেস্থলে?
ভরা বরষার কালে সজল আকাশময়-
সবুজাভ মেঘভাষা আশালতা মনে হয়।
কত কী ভুলেছি আজ…
তরুণ দারুণ কবিতার শিখাময় কারুকাজ।
যেন বা অদেখা এক সন্তাপিত কাব্যলীন একা-
জেনেছি জোছনাতেই আদ্যপান্ত দেখা।
অদেখাও আহাময় চিত্রকল্প মনে হয়-
তখন জগৎ সংসার সব জলছবিময়।
এই ব-দ্বীপ অঞ্চলে লোকজন কবিত্বপ্রবণ…
জন্মাবধি হৃদ্যতার হয়েছি উদাহরণ।
॥দুই॥
শত প্রাণান্ত বিস্ময়ে স্মরণকালের এইদেশে-
আমরা জ্বালাই শিখা মৃত্যুহীন প্রাণ ভালোবেসে।
আমাদেরতো হৃদয়ে এই এক শুভ্র অহঙ্কার-
জাত বিচারে কী যায় আসে তোমার আমার!
চলো আজ যাই ভেসে যাই-
নদীময় কবিতায় আর কোনো চাওয়া নাই।
নাওয়াখাওয়া পড়ে থাক-
চলো ভেসে যেতে যেতে শুনি ঢেউভাঙা ডাক।
ঝগড়াফ্যাসাদগুলো দূরে থাক-
সুখেরদুখের স্মৃতিমালা হোক হৃদয়ের শতভাগ।
অতপর আরণ্যক গাঁয়ের গভীর ছুঁয়ে-
সোঁদামাটির সাজালে আপাদমস্তক ধুয়ে-
দিনশেষের সকল ফেলে সকল বাঁধন খুলে
দেশটাকে সযতনে বুকে নিয়ে যাবো হেসেখেলে।