কামারশালায় জ্বলি সারাদিন। পুড়ে মরি হাপরের টানে।
একবার চোখজোড়া লাল হলে সামনে দাঁড়ায়
যৌবনবতী নারীরা। আমার সমস্ত দিন তৃষ্ণায়-তৃষ্ণায়
ফেটে যায়; ফেটে ফেটে চৌচির প্রান্তর! তবু দিন শেষে লাল
সূর্যটা কেমন যেন হাপরের লাল আগুনের মতো হয়ে ওঠে।
একবার বাবা মদ খেয়ে চুর হয়ে পড়ে রইলেন। মাঠে
খোলা আকাশের নিচে। পাড়ার নারীরা মুখ টিপে টিপে
কত যে হাসলো। আর কত টিপ্পনি কাটলো।
তাতেও বাবার কোনো বিকার ছিল না। মধ্যরাতে
আমাদের উঠোনের মাঝখানে একটি কুকুর
কেঁদে উঠলে, সবাই সচকিত হলাম তখন। আর
দেখলাম, আমাদের বাবা তখনো মাঠের পরে চিৎ
হয়ে শুয়ে শুয়ে মৃত তারাদের গুনছেন। আর তার
পিঠ বেয়ে নেমে যাচ্ছে একজন ক্ষমাপ্রার্থী করুণ ঈশ্বর।
মন্তব্য