হেমন্তের শহরে শীতের সজিবতা ওঠে
প্লাবনের স্মৃতিগুলি ভেসে থাকে
ছলাৎ ছলাৎ জলনাচে ধীবরের জাল ফেলে
ভাসমান গ্রামগুলি বয়ে চলে দক্ষিণা বাতাসে।
উড়াল পালের উৎফুল্লতা খুলে পড়ে
সেখানেই ভালোবাসা দেখি:
মায়ের স্তনের দুধ ঝরছে বুকের কাছাকাছি চরের জ্যোৎস্নায়
বালিয়ারি জুড়ে চাতক পাখিরা পালক খুঁটছে
লোনাজলে ঘুম রেখে যাবে বলে…
সবুজ ঘাসের ফড়িং উড়ে গেছে
মায়ের গন্ধ অঙ্কুরিত রক্তরাগ—বীজধান ক্ষেতে রেখে
কার ফসল তুলবে ?
কার গোলাঘরে?
হেমন্তের শহরে শীতের সজিবতা ওঠে সব্জির বাজারে।
মৃত্যুর নিঃশ্বাস
বয়ে গেলে অভিসারে; পাখিরাই
উড়ে এসে ডানা মেলছে উঠোনে…
ধান মরাইয়ে ব্যস্ত ওম আঁতকে উঠলে চোখের কাজল,
পরকিয়া রাত বুনে দিলে কৃষ্ণচূড়া রঙিন পাতার গায়
আবিরের রৌদ্র মাখানো শরীর বয়ে নিয়ে এলে—
ত্রাণের খাবার ভূখা হৃদয়ের উষ্ণমাখা রুটিতে জড়িয়ে দিলে
বিষাদের খেয়াল তুললে—বাঁশরিয়া সেতার চঞ্চল মনে,
আগুনের বাঁশি কে বাজায় ?
মাটি ও মৃত্যুর নিঃশ্বাস গনগনে…।
কফিনের কাক
নাভিগর্ত ঠেলে লাল কাকড়া বেরিয়ে আসবে রাত্রির অন্ধকার,
ফুলে উঠবে নদীর পার—
চোলাইয়ে…বুদ্বুদের ঢেউ সাজে…
ক্ষুধার উষ্ণতা চারপাশে বরফ গলছে কিনারায় এসে
মৃত ধান ক্ষেতে পাকাধানের সুগন্ধ
খুঁজতে বেরিয়ে আসে মনসার—
নাগিনী নৃত্যের রমণীরা খড়ের কোমল স্পর্শে,
পায়ের ঘুঙুর ধুলোয় জড়ালে—
একাকি সেখানে গোপন শরীর ছড়ালে দেহের আলো ফেলে
বৃক্ষের ছায়ারা—ভেতরে আসবে বলে গোধূলিতে উড়ে এলো
রঙিন কাপড়ে তাঁতের বুনন গন্ধ—ডানা মেলে
কফিনের কাক…
হঠাৎ ডেকে উঠলো আবার।