মহিলা পুলিশ
কিসের যেন ছায়া থাকে
পোশাকের মধ্যে|
প্রতিবিম্বহীন
বৃক্ষ খুঁজি বস্তু খুঁজি
নিশিদিন
শহরে শহরে কেন বেড়ে যায় এত বিবমিষা!
নহরে নহরে তবু দেখা যায় অন্য মনীষা
এত যে গুপ্তলীলা—আজ থেকে তুমি রয়ে যাও থানা
ব্যক্তির মধ্যে তোমায় আত্মায় কে দেবে আজ হানা!
বেড়েছে আজ এত যে বাজ কেউ কি তা জানে
চোখের মধ্যে হাতকড়া নাচে নেই কোনো এর মানে!
এ শহরের প্রান্তরে—
তোমাকে দেখলে বড্ড চোর হতে ইচ্ছে করে।
বৃষ্টিবাহিকা
রমণে রচিত হবে তাহাদের কথা, এই নহরেও যারা
কিশোরীর সুপ্ত সুখ, গুপ্ত অসুখের মতো কবি।
ছায়া ছায়া রোদে ফুটে ওঠে তাহাদের খুন ঝরা শ্বাস,
দীর্ঘ দীর্ঘ সুদীপ্ত অন্ধকার
অন্ধকারে এ কেমন ঢেউ রোদে রোদে লীন! তবুও তারা গ্রীষ্মহীন
কতকাল লজ্জা গেঁথে চলে গেছে সমূহ অস্থির সঙ্গম!
বাঘিনীর গায়ে গায়ে বিষণ্ন গায়িকা, গায়িকার মুগ্ধ চুমু
ঝড়ো হাওয়ার মতো ঝরে ঝরে যায়, বলে,
ও যৌনযুদ্ধ, এনেছি পাতার সফল মানচিত্র, বৃক্ষের আবহসঙ্গীত
আবহসঙ্গীত! আহা! এ কেমন সুর, যেন শঙ্খ
কান পাতলেই শোনা যায় মুগ্ধ বধূ-শ্বাস, তপ্ত চোখে তার
সূত্র ভাঙা শুভ্র মোহনার গান
কষ্ট মুখোপাধ্যায়
আমি তখন রোদ কুড়াচ্ছিলাম। প্রিয়কষ্ট ডেকে বলল, এই শোনো, এক কেজি উষ্ণতা নিয়ে এসো প্লিজ। স্বপ্নময় আলো হেসে ফেলল, বিষণ্ন হলো অভিজ্ঞ সেমিকোলন।
বিষণ্নতা খুব একাকিত্ব বোধ করছিল। আমি তাকে শোনাচ্ছিলাম নির্জনতার গান। সাগরচোখে বহুদূর তাকিয়ে সে শুধু দেখতে পেল আলোময় ব্যথার ঝিলিক।
দুপুর শুতে যাচ্ছিল। বিকেলের প্রেমে বুঁদ হয়ে সে ছিন্ন করতে চেয়েছিল রোদের আয়োজন। কিন্তু সূর্যটা কি আর পালায়! কণ্ঠের বিকেলমগ্নতা এনে দিল তাকে মিলনের পাসপোর্ট
রোদের বিষন্নতায় দুপুরের কী আসে যায়!
হাত ধরে ডেকে বলে কষ্ট মুখোপাধ্যায়।
কিশোরীকাল
পতনে রমণে গুপ্ত পুকুরের পানে
ভেসে যাই বারবার কুয়াশার বানে
বিমূর্ত কারণে চিনে ফেলার আগেই পবিত্র হবে সম্ভ্রম
সে জানে আগুন ও জলীয় বাষ্পের সমীকরণ। বুকের ভেতর স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় মুদ্রাবদলের ভাষা। উদিত শিখায় মোহময় আগুন
তবে কি এটাই ভালো উৎসর্গপত্রের নিচে থাকবে ভ্রমণের সচিত্র স্বাক্ষর! ভাবনায় মাথা ধরে তার। অন্ধকারে কাঁদাজলে নিষিদ্ধ পৃথিবী তবে কেন মানচিত্র হারাতে চায়! মঞ্চ ভালো লাগে না, শুধু জানতে ইচ্ছে করে ছুরিবিদ্যা কেমনে নামায় আগুন নেভানো জল!
ভাঁজ ও বাঁকের তন্ত্রে মিশে আছে রাহস্যিক ঠিকানা
ভুলের ভেতরে ফুলের সম্ভ্রম, বহুকাল চিঠি আসে না
রোগী
সেবিকার চোখে ইহকাল জাগে তার। শহরে শহরে গড়ে ওঠা বৃদ্ধ পিরামিড থেকে চুরি হয়ে যায় চুড়ি— বিমানবালিকা! মনোবিজ্ঞান পড়েনি সে, শুধু বিমূর্ত সূচের অগ্রভাগে দেখে নিয়েছে চোখ। এখন মৃতবালিকার লাশ হয়ে অ্যাপ্রোন জাগে না। মনে হয় ব্যবহৃত জোসনা মেখে চলে আসেন মিস পূর্ণিমা চ্যাটার্জি
জোয়ার আসেনি এখনো। দৃশ্যবাদী কাগজ ঢুকে গিয়েছে প্রেসক্রিপশনে। অনন্ত গর্ত হতে বেরিয়ে আসে প্রদত্ত স্বপ্ন, আর স্বপ্নের ভিতরে ক্রীড়াশীল দুটো টিকটিকি…
আসুন মহামান্য ফ্রয়েড, সংস্কারের অর্থমূল্যে কিনে নেব সেবিকার হাত, বিমানবালিকার চুড়ি…