সুইসাইডাল
আতাবনে ফাঁসি ওড়ে প্যারাগুয়ে লন—
কাঁটামালি বিঁধে ফোটে ভূ-মেসোমণ্ডল…
রেহেল ক্রুশের দাগ তুণের আঁধার—
মেথির সৌরভ পিষে খতিব গাড়ল…
আয়ুর চোষক এক অন্ধ ভ্যাম্পায়ার—
গান্ধর্ববিদ্যায়ও ঝরে কত সুইসাইডাল…
তহুরা জান্নাতি ফল খোলে নিম্নপাড়—
স্বঘড়ির কাঁটা জুড়ে সৌর-গামাশার্শি…
ঝরে যায় মেধাবিষ শ্লীলের ওপার—
ফুলের একতা আনে খুশবুর রশ্মি…
শিরের চাতালে লেখা কূট-হ্যান্ডনোট…
আমার সোনার বাংলা ঘ্রাণের কাঙাল—
অডিটে ফাসেক নামে ঝরে তারাফেনা…
পথের অ্যারোমা শোঁকে শিকারী চণ্ডাল—
নিমের পাতায় থির ডাক্তার অচেনা…
ঘি-ভরা দিনের মন মায়ের সেতারা…
উজানে শিসের পথ নিজের সন্তান—
রাষ্ট্রের ফ্যাব্রিকজুড়ে তামাদের ভক্ত…
গানের আসরে থির উৎকীর্ণের প্রাণ—
আদম জঙ্গির আত্মা নুড়ি-তাপ-রক্ত…
ক্লিশে বিয়েভরা নথ কীটে দষ্ট ক্ষেত
পাশায় জীবন ঘোরে কাটে কালাকাল—
জারজের ফুঁয়ে ভাসে রিউমার সন্ধ্যা…
সুলতানার পাখসাটায় প্রেমের মড়াল—
আসমুদ্রে ভেসে যায় তামাদষ্ট-বন্ধ্যা…
এন্টিরশ্মি
ঋর্ণা বিধৌত সমস্ত আপেল—দূর মীনাক্ষী—
শ্বাস-সচল ফাঁস, আস্বাদের মাংস… যেন
লোভীর চাহুনিভঙ্গিতে নত—তীর্যক রোদে
ঝুলেপড়া কোনো এক কুকুর-জিহ্বা…
আর ঋষিবীজ—
সে তো আগামীর আয়ু…রক্তসম্ভবা জমিন—
ধনেপাতা এখান থেকেও ফিরে একদিন—
মানুষ ও উদ্ভিদের শ্বাসগত ট্রানজিট ধরে—
চলো, নহবতের আবহাওয়া ঘুরিয়ে দেই—
তারা ও রায়তের সিন্ট্যাক্স, চাঁড়ালের আলো…
আর যতসব পৃথুল প্রচল—সিন্থেটিক মন…
চলো, বীজ, পাতাঋষি—
বসন্তরঙ্গনে ঢাকি শীত, ছড়াই—এন্টিরশ্মি…
ছড়াই—স্প্রিঙিজম, চলো, বসন্তবাদীর দল…
চলো, নব কুঁড়ি, মীড় ও সৌরভের টেক্সচার…
চলো ছড়াই—
মাতৃগর্ভভাষাশিস, অজস্র মীনাক্ষীর রশ্মি…
পশু-পাখির ভাষায় কবিতা লিখি
পশু-পাখির ভাষায় কবিতা লিখি…
দূর তারার ইশারায় কোলাজ শিখি…
ঘাস, তোমার সবুজ ভাষাও জানি…
সমুদ্রছায়া ও দ্রোণির প্রেমও মাপি…
মাতৃস্তনে যে বিশুদ্ধ রসায়ন ফলান…
উত্তল লেন্সে তার পুরুষ ও সন্তান…
দিগন্তের ভাষায় দেখি তোমার মুখ…
জিবরাইলের ভাষায় খুলি সৃজনবুক…
পথিকৃতের ভাষা মেপে রামধনু খুঁজি…
মিনারের গলায় তারে ডাকতে রাজি…
কে শিয়ালের বুদ্ধি ফেলে ডাকাতে…
ফুলের রেণু ছড়ায় কার সাক্ষাতে…
বেদানার বন পাকলে রটে—দারুণ…
রহমের ঋতু ফোটে—আসে ফাগুন…
কলতলায় যে চুঁড়ি বাজে—ঝনঝন…
তার পাশে কি মন বাজে—গুনগুন?
সাংবাদিকের ডেউয়া রঙের গান…
আর কত ফলাবে মিথ্যার সম্মান?