বেদনার মত কষ্ট
যে শহরে তোমার কষ্টেরা থাকে, সে শহরে থাকে বেদনাও। তোমার কষ্টের রঙ লাল। বেদনার রঙ বেদানার মতো। দুপুর হলেই পাকা বেদানার রস পান করে ওরা। একটু খোঁজ নিয়ে দেখো ওই বেদানার স্তনের ভেতরে রয়েছে বিরহের একটা অ্যাপস। সেখানে আমপোড়া দুপুরের স্টোরির মধ্যে হরেকরকম কষ্টের ক্রিসমাস ট্রি। সেটা কি জানে তোমার শহরের বেয়াড়া কষ্টেরা? নোনা জলে স্টিমারের মতো আওয়াজ করতে করতে অনেক দূর যেতে চায়। একাকিত্ব আজকাল বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং। তোমার কষ্টের শহরে বেদনার বুকেই আছে আস্ত একটা তিস্তা। যার চরে বসে অনন্ত সন্ধ্যার জল ঢেলে চলে বিয়োগীপ্রেম। তোমার কষ্টকে বলো তিস্তার বাড়ি আসতে।
ভাঙাগড়া
জলে স্বপ্ন ভাসালাম।
সামনের দিকে দীর্ঘাঙ্গী শৈশব–কৈশোর, আর উল্টোদিকে বসে থাকা যুবতী রাত্রির আলতা পায়ে আলতো ছোঁয়া; যেন রাতের হরিণ। মাঝের নৈঃশব্দ্য ভেদ করে শোনা যায় ডাক-হরকরার পায়ের শব্দ। আমাদের স্টিমার এখন গঙ্গা থেকে প্রমত্তা পদ্মায় পাড়ি দিয়েছে। দেখতে পাচ্ছি ভাঙছে প্রতিশ্রুতির পাহাড়, গড়ে উঠছে এক আধুনিক শহর।
এখনো সময় আছে
বিকেলের হলুদ পাখির মতো বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে সময়। ঠোঁটে ঠোঁট রাখার মতোই উষ্ণ ভালোবাসা মেখে নিয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখোমুখি সন্ধ্যায় বনলতা সেন। সন্ধ্যার ডাকঘরে আজও কেউ অপেক্ষায় নিয়ন আলোয় নীলখাম নিয়ে। মুখোমুখি বসার এক দুরন্ত সময়। এখনো নিভে যাওয়া আলোয় সময় যেন বিটোফেনের সুর। তারপর তো গলে খসে পড়বে রাতের স্বপ্নগুলো আবার। মহামারীর ইস্পাত নগরীতে। যে বিষণ্ণতা বুকে বাজছে সে যে ভায়োলিনের আনন্দ ভৈরবী। সময় এসেছে তাকে সোহাগে জড়িয়ে ধরার। ইটের ভেতরে ইট গুঁজে যে কংক্রিটের আকাশ তুমি বানিয়েছ, সে তো পুড়ছে জীবন্ত ভাইরাসে। এখনো সময় আছে অসময়কে হিমঘরে পাঠানোর।