বিনীত নিবেদক
গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
লোকটা শুকিয়ে যাচ্ছে।
তার শরীর জুড়ে ‘আশা না করার’ বিলাসিতা,
ফুসফুস ছিদ্র হয়ে গেছে অপেক্ষায়, চোখ ফ্যাকাশে-রক্তহীন,
তবু সে দাঁড়িয়ে আছে পথের পাশে নিশ্চল-নিশ্চুপ।
গাছেরা চিৎকার করছে,
‘জাগো, জেগে ওঠো, সাহস দাও’—
চিৎকারগুলো গড়াতে থাকে—
কেউ জাগে না, কেউ শোনে না।
পাথর চুঁইয়ে গড়াতে থাকে ঘাম
লোকটা শুকিয়ে যায়,
গোলাপটি রয়ে যায় তাজা এবং সম্পূর্ণ একা।
একাকী গোলপোস্ট
শ্রাবণ যায় তবু পদ্মপুরাণের পাঠ ফুরোয় না,
ফুরোয় না হাওরবিলাসী পাথরের বিলাপ।
কাঁচের বয়ামের ভেতর দুশ্চিন্তার কাপড় বোনে সুয়োরানি রাত,
কবরগুলো ফুলতে থাকে।
প্রাচ্যগামী পৃথিবী—
গির্জার ঘণ্টা বাজাও,
নাগিনীর কাটা লেজ আঁচলে বেঁধে নাচতে থাক বেহুলা।
আমি মাঠেই আছি
রেফারির লালকার্ড পাওয়া একাকী গোলপোস্ট।
নিঃসঙ্গ রেললাইন হেঁটে যায়
একাই হামাগুড়ি দেই মৃত্যুর ভেতর,
তুমি তোমার বৃত্তে দাঁড়াও,
গোপন উৎস থেকে খসে যাক বোধিবৃক্ষের ছায়া।
দেখো, আয়নার ভেতর ভাঙছে চাঁদ,
রামধনু কাঁচের ভেতর থেমে গেছে ট্রেন।
শূন্যতার দেওয়ালে আদমের হাড়,
আমাদের ঘর-গৃহাস্থালী, সাজানো রক্তের দাগ।
হাতের তালুতে যোজন অন্ধকার।
ভুবনবন্দি ঘুম নিয়ে নিঃসঙ্গ রেললাইন
হেঁটে যায় জোস্নার দিকে।