এক
এমন চৈত্র যায়-যায় প্রায়
একটি বছর হারায় দ্রুততায়!
আজকাল আশাদের লতায়-পাতায়
কাঁটাময় চিত্রকলা দেখেছি হাওয়ায়!
দেখেশুনে বৈশাখকে বলি যে ও ভাই-
দেখি উড়িয়ে নাও তো ধানাইপানাই!
কত অপেক্ষা উড়েছে পদেপদে-
কাঁটার ক্ষতিরে উপেক্ষা করেছি স্রোতে!
এদেশে এমনতর ফি-বছর নয়ছয়
তবুও আশালতায় নতুনের শুরু হয়!
পরাণে পরাণ রেখে আবারও চলাচল-
বোধনে অসীমতার নবতর মেঘদল!
এইতো সসীম জীবনের শুরু থেকে শেষ
এইতো জেনেছি শত বছরের হালচাল বেশ!
দুই
হালখাতায় যা কিছু আশাময় সূচনার-
সবুজ দিনের সেই হয় প্রিয় সম্ভাবনার।
মেঘদূত হয়ে ওড়ে ঘন পালকের দিন-
ভেজানো নরম তুলো যেন সে বেদনাহীন।
আগাম বরষা বুঝি বৈশাখী অগ্নিকে বলে
এসেছি রূপালি রথে তোমার আকাশতলে
দেখোনি কি সবকিছু দহনে পোড়ার পরে
কেমন রোদনকাল নামে পোড়া চরাচরে!
সেই যে সঘন প্রেম এসেছিলো একবার
তার কী সময় আছে পুরাতন ছাই দেখবার!
সে তাই আকাশছোঁয়া স্বপ্নাবৃত্তে ওড়ে—
তাহার ডানার গন্ধে সন্ধে উড়েপুড়ে ঝরে।
তখনই তো কাহারে যেন কবিতার মতো—
সুখেরদুখের কথা লেখা লিপিকায় শত।
তিন
তুমি কি তরুণ শিখা নামটি রেখেছ মনে?
যে শিখা জ্বলতে চেয়ে চুরমার মৃত বনেবনে!
আহা কী আহত নদী দিবানিশি জঞ্জালভারে…
কারও মনেও নেই নদী খুঁজেছিল কারে!
যে কথা হয়নি বলা তার কথা ভাষা জানে…
ভাষার অধিক ভাব তারে ভালোবাসা মানে।
চার
আমার বছর ঘুরে তোমার বছর ওড়ে…
শেষের কবিতা হতে শুরুর কবিতা ঝরে!
যে শিশু জোছনা দেখে দারুণ জীবন শেখে…
শিহরিত সে আমাদেরই কালাকাল লেখে।