আমার নাবিক
রাত এসেছে চাঁদের ওপর বসে
সঙ্গে ছিল ঠাণ্ডা হাওয়ার দোলা;
পথ চলতে জানো বলেই তুমি
শিরীষ পাতা নিচ্ছে তোমার পিছু।
যখন এলো শহরজুড়ে খরা
দ্বিধার জগৎ পুড়ে কেবল মরে;
সোনার গাঙে বান ডেকেছ তুমি
কালো গোলাপ চুমু হয়ে ওঠে।
আমার খোঁপায় রাত দিয়েছ যখন;
জীবন কেন মান ভাঙেনি আগে?
মান ভাঙাতে চাঁদের জাহাজ ধরে;
এসো তুমি আমার নাবিক হয়ে।
আর্তনাদ
দিগন্তের লালদিঘি সাঁতরিয়ে
বৃক্ষদের সবুজ হৃদয়;
যেন আর সবুজ থাকে না।
মুখোশের বয়েসী ছোবল
উৎকণ্ঠার পীড়িত সঙ্গমে;
জীবনের তর্জমা বোঝে না।
আমাদের রঙিন ডায়েরি
কত আগে ছেড়েছে তারুণ্য;
তবুও যে জীবনকে ছাড়ে না।
মানুষেরা স্বপ্নকে বাঁচাতে
জমা রাখে নক্ষত্র নিঃশ্বাস;
সেখানে যে বাঁচার দেয়াল।
অতপর অতৃপ্ত স্মৃতিরা
লুট করে সোনালি বয়স;
বেঁচে থাকে অসুস্থ খেয়াল।
ভালোবাসা যদি বা হারালে
অতৃপ্ত সে দুয়ারে দাঁড়ালে;
জীবনের তাগিদে হরতাল।
এই বিবাগী শহর
এই বিবাগী শহর
এই জাদুর শহর
এখানে কুপির মতো সরু চাঁদ ওঠে
এখানে খুব গোপনে রাত নেমে আসে
এইখানে রাত খোঁজে তীব্র আলিঙ্গন
এখানে রাত তোমার মতো পিলসুজে
এখানে রাত থমকে যায় অকস্মাৎ
আর খোঁজে—খুঁজে মরে ঠিক অন্যকিছু
তোমার চোখের মতো এখানে রাতেরা
খুব গোপনে হাওয়ার ডাকে ছুটে যায়
অনাহারী পুরুষের মতো তীব্র প্রেমের ক্ষুধায়
জেগে ওঠে আজ এই বিবাগী শহর।
এসো এই বিবাগী শহরে
এমন বিবাগী রাতে আমাদের ক্ষুধা এক হয়ে যাক।