পরি: আমৃত্যু মৃত্যুর মোলাকাত
এভাবে আর কত দিন বিবেকের বেতাম খোলা রেখে তাকিয়ে কাটবে গোধূলি। জীবনের অহম পুড়ে-পুড়ে অশ্লীল রৌদ্রের পুস্তকে নির্বাসিত হবে। জোড়া হাত—আয়ু বাড়ছে—আয়ু কমছে, রেগে উঠছে কলহের নগর। সদর দরজায় খিল এঁটে খিড়কিতে মৃত্যুর মক্তব খুলে রেখেছ ইতিহাস; তালুতে এঁকেছ বাতাসি রঙের শ্লেট। নিভৃত ভাষার দুর্বৃত্তায়নে কেঁপে যাচ্ছে জীবনের সকাল। আমরা ভুলে গেছি আহত বৃক্ষের আয়তন, মসনদী অসুখে লাল চোখ আমাদের শাসিয়ে শিখিয়েছে সত্যের সীমারেখা! শহরের ফ্ল্যাপে মৃত্যুর খড়্গ আমাদের তাড়া করে ফেরে, দেশের পথে পথে অবুঝ আগাছার মাতাল নৃত্য। পাপের ট্রাক এড়িয়ে সবুজ ঘাসের কাছাকাছি থাকতে দাও প্রভু। মৃত্যুর মিছিল হেঁটে-হেঁটে ততদিনে ক্লান্তি নামাক। আমরাও গুছিয়ে রাখি জলজ নির্মাণ, পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিবাদের রক্ত। পরি চলো আর একবার শহর—গ্রামে মানুষের সাহস ফিরিয়ে আনি, ফসলের হাতে হাত রেখে রুখে দাঁড়াই বৃত্তাবদ্ধ চিন্তার বিপরীত দরজায়।
চুদির ভাই
আরামে আছো; বোঝো না রক্তঋণ
অসুখের ঘোরে মাথা ঝাঁকাও সব কাজে
বেছে নিয়েছ আফিমজীবন।
আমরা দশের নিচে
আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণ জানি না
আমরা চুদির ভাই
উন্নয়ন
শহর কাঁদছে
গ্রামের হাতে হ্যারিকেন,
তোমাদের পকেট বাড়ছে
আমাদের হাতে লালপেন