ইমিউনিটি সিস্টেম
এক আকাশের তলে দল বেঁধে ফিরছে পরিযায়ী পাখি সব
হারানো সভ্যতা ফিরে আসছে ডলফিনের
পায়ে পায়ে। অরণ্য ছড়াচ্ছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন
শুকনো মরুভূমির তেতে ওঠা বালু
কোন অতলের জল চুঁইয়ে চুঁইয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে
এক মানচিত্র এক দেশ হবার তরে ফুঁসে উঠেছে
এই ধরণী! দর্পিত জাতিভেদ প্রথা শাদাকালো উঁচুনিচু
বর্ণবৈষম্যের মাথায় চাবুক মেরে ইরেজ হচ্ছে সীমারেখা
সবিতার কালো চুল সোফিয়ার লালচুল এখন ধূসর
ঈশ্বর নির্বাসনে বসে তামাশা দেখেন সত্য পরিণামের
সমাজবদ্ধমানুষ এখন নিজের কাছেই একলা মানুষ বন্দি মানুষ
জীবন-যাপনে অনিশ্চিত অবরুদ্ধ শরীর এখন চাতক
নগদপ্রাপ্তি শাদাকফিন মহুর্মুহু টোকা দেয় দরোজায়
মানুষের গ্রীবায় নেমেছে কঠিন ব্যারিকেড
ঠোঁটের কোলাজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত
জাগতিক শিল্প ও শিল্পকলার কলকোলাহল শ্রান্ত বিলাস
যে-হাতে ছিল মুক্তির রাইফেল তাজা গোলাপের ঘ্রাণ
সে-হাত আজিকে অদৃশ্য শেকলে বাঁধা ইশারায়
ফিরে এসেছে শক্তিশালী বুলেট প্রতিশোধের অণুজীব
যুদ্ধ ঘোষণা এই পৃথিবীর থুবড়ে পড়া মনরথটা ঢেলে সাজাবার।
ঘোর
লেগে থাকে সুখ
জেগে থাকে শোক
এই চোখ মাছ
ঠিক যেন মৃত
লোনা ভোর রাতে
কেঁদে কেঁদে জাগা
ফিরে আসে বাঁক
তবু পথ নেই
ছায়া শুধু ছবি
মায়াটুকু লীন
তীব্র শূন্য বুক
চুরি করে হাসে
দেখে নেয় বিভা
ঘোর লাগা ঘ্রাণে।
সাবান ফেনার মতো উবে যায় কবুল
নিভৃত আগল ভেঙে
এসেছ সেদিন নিজে
মুহূর্তে ছুঁয়েছ ঠোঁট
অধর রাঙালে বেশে
ঘ্রাণের স্পর্শ নিংড়ে
নিমগ্ন বীণার তারে
বাজিল মধুর সুর
প্রাপ্তির পকেট ঢেকে
লালন করেছো ধ্যান
সুতীব্র মুখর রাতে
ভেঙেছো রীতির দোল
নিভৃত হয়েছে ঝড়
প্রকৃতি সেজেছে মেলা
রোদের দুপুর বেলা
অস্থির হয়েছে চোখ
কাজলে কাজলে জল
আলতো সরিয়ে রাখি
‘ঘুমন্ত ঘুঙুর আমি’
চুমুতে চুমুতে বাজি
খুঁজেছ কাহারে যেন
আমার খাঁচার মাঝে
নির্জন দুপুরে পাখি
খোয়াবে পাঠালো চিঠি
সিঁথির সিঁদুর পরা
নিছক নাটক কলা
আদিম রাতের ছল
কথার মুখোশ জামা
সবই বনেদি ফেরা
নতুন পেয়ালা ছেয়ে।