আড়াল
সারারাত অন্ধকারে কত কিছু আনাগোনা করে আজকাল
কত ধরনের মিহি কান্না ভেসে আসে
আচ্ছা আমি কি একাই শুনি শুধু শব্দগুলো?
স্নায়ুরোগে ভুগে ভুগে
মার্চ ও এপ্রিল মাস কফিনেই কেটে গেলো
আকাশের বুকে সরু হয়ে ওঠা চাঁদ দেখি
মরা মানুষের হাড়ের মতো হা হয়ে থাকে
কালপুরুষের ছায়া
অথচ এখন আর খুব কাছে থেকেও
. ট্রেনের হুইসেল শুনতে পাই না।
তবে কি আমি বধির হয়ে গেছি
প্রবল নৈঃশব্দ্যে নষ্ট হয়ে গেছে শ্রুতিযন্ত্র
সময় ফসিল হয়ে গেলে
কিছুটা আড়ালে হারিয়ে গিয়েছে
চিরচেনা মুখগুলো
অজানা আশঙ্কা মিয়ে
ভ্যানগগের সূর্যমুখীতে মানুষগুলো সব ঘুমিয়ে পড়েছে।
টোল
সেই কোন পুরাণের কালে
দীর্ঘ অবসরে
একটি রাস্তার খোঁজে আমি হাঁটতে থাকি
ভ্রমণের পথে
আয়ুরেখা ক্ষয়ে গেলে
দিবা ও রাত্রির চিরশূন্যতার মাঝে
বিন্দু থেকে বৃত্ত হই
বৃত্ত থেকে বিন্দু
বহুদিন হয়ে গেলো
অনাদি বাসনা নিয়ে
মড়ক লেগেছে পৃথিবীতে
তাই রাস্তাটি জলের সাথে মিশে যায়রাস্তাটিতে অশরীরী ছায়া হাঁটে
রাস্তাটির প্রতিটি গলিই শুধু কানাগলি মনে হয়
দীর্ঘ শ্লোকের বেদনা নিয়ে
বিভ্রান্তি ছড়ায়তবু উপায়হীন হয়ে হেঁটে যাই
তোমাদের সাথে
পলেস্তারা খসে পড়া দেয়ালের দিকে
অলিগলি পার হয়ে যেতে যেতে
স্পর্শহীন অন্ধকার নেমে এলে
প্রশ্ন জাগে মনে— রাস্তাটি তবে ভুল করে তৈরি হয়নি তো
. তাহলে কেন? কেন দিতে হচ্ছে এত এত টোল?
মুক্তি
মুক্তি কথাটি তো বিপজ্জনক
খুব গোপনে নির্জনে ধুন তোলে
বেওয়ারিশ অভিমানে
আহা নার্সিসাস পুড়ে মরো শুধু
নিজের আগুনে
আলোর স্ফুলিঙ্গে ঝলক উঠলে
শিকড় ছড়ানো দীর্ঘ প্রতিসরণের পর
অচেনা রেখার টানে হেঁটে যাও
চিরবিভ্রান্তির পথে
হে পথিক
লুপ্ত হওয়া বিষাদে
স্মৃতিভ্রষ্ট একাকী কালপুরুষ হয়ে
আর কতদিন বলো ওভামের বুদ্বুদে ভেসে রবে?