আমিও দুর্ধর্ষ
বারবার ব্যর্থ হয়ে আমি ফিরে আসি
. আবারও যাই!
বিরাগী, নিস্পৃহ ও উদাসীন হতে পারলাম না!
শীতের রাত্রিতে কুয়াশায়—
খোলা মাঠে থাকতে থাকতে
. শরীরও হিম হয়ে যায়,
দানা-পানি না পাওয়ার পরও—
একটি ঘোড়া আমাকে তুলেছে তার পিঠে,
মনে হচ্ছে তার ও আমার শক্তি কমে যাচ্ছে এখন—
তবুও পার্বত্য এলাকাটা পার হয়ে যেতে হবে,
বুদ্ধি-বিবেচনা ও সাহসটুকু নিয়ে
. হিংস্র পশুর ভয়—দূরে ঠেলে দিয়ে,
গুপ্ত পথ ও পরিখা পার হতে
নিক্ষেপিত পাথরের আঘাত পাওয়ার পরও,
পট্টি বেঁধে নিয়ে
. —এবার পৌঁছাবো,
আশ্রয়-ভিক্ষা ও আত্মসমর্পণ মানায় না—
আমিও দুর্ধর্ষ হতে পারি!
ফিরেছি
আমি এখন ফিরেছি
. আমার কাছে,
আমি আমাকে এখন বেশি পাই!
তাই বলে কি তুমি আমার কাছে
. —খানিক নাই!
আছো, অনেকে আছে!
তবে ফিরেছি বলে
আমাকে আরো বেশি চিনেছি—
এতদিন চিনিনি এমনভাবে
. —নিজের স্বভাবে!
নদী না ফিরলেও
আমি ফিরেছি!
. আমার উঠানে!
অচেনা ছিলাম এতটা আমি
আমার কাছে? জানিনি আগে!
মনোবিকলন
মানুষ এখন সংযমে নেই! বিপুল অপচয় নিয়ে
পৃথিবীকে ঠেলে দিচ্ছে—আর এক ধ্বংসপ্রাপ্ত
সভ্যতার দিকে। এই সভ্যতাও কি পুরো বিলীন
হবে? মানুষ ভোগসর্বস্ব ও আত্মসর্বস্ব হয়ে ওঠার
ফলে—নিজেই হয়ে যাচ্ছে প্রতিমুহূর্তে
পারমাণবিক বোমা, ভস্মীভূত করছে নতুন
নতুন হিরোশিমা ও নাগাসাকি, শুধু টের পাচ্ছে
না, এই ধ্বংসযজ্ঞ! গুড়িয়ে দিচ্ছে নিজের
ভেতর—মানবিক ভর ও শক্তিকেন্দ্র! মানুষ কোন
পরিবহনে আচ্ছন্ন হচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, কী
পরিণতি—তা বুঝতে পারছে না—কী অবিশ্বাস্য
রকমের মনোবিকলন!