আমার সময়
ঈর্ষার চোখে আগুন দিয়ে ফারুকের হয়; ফরিদার হয়;
শফিক এবং সুমিতেরও হয়; হয় আরও অনেকেরই;
কিন্তু আমার হয় না। তারা বলে:
তুই ব্যাটা আস্ত একটা ভোদাই
প্র্যাকটিস করলেই তো পারিস!
অতএব বাথরুমে গিয়ে চাঁছাছোলা করি,
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মন মজানো—
মৌয়াল মধু খাই দু’বেলা;
রুমি-সুমি স্যারকে ইছবগুলের ভেজা ভূষি করে তোলে;
অথচ আমার কথায় জলগর্ভ লবণও গলে না।
‘সর্বদায় সত্য কথা বলিবে! সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’
হায় টিকলীচর ফ্রি প্রাইমারি ইস্কুল!
হায় স্বর্গবাসী সেকান্দার আলী স্যার!
শেকড়ের কথা বলতে গিয়ে ধরা খেলাম,
কপালে একটা অদ্ভুত টিপ দিয়ে নির্বাসন দিল আগারা;
বন্ধ বাথরুমে মনকে সান্ত্বনা দিয়ে গাইলাম:
‘এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে….’
রাজার টিকটিকিও যেন শুনতে না পায়—
এমন চাপাগলায় বললাম,
দেখিস্ সজন, দিন ফিরবে একদিন আমাদেরও!
কাঙালের কথার প্রবাদকে অবাক করে দিয়ে
নুতন নিশান হাতে দিন ফিরলো পাঁচ দিন পরেই!
মাগো আর ভাবনা কিসের!
বুক ভরা একটা দরখাস্ত নিয়ে ছুটে গেলাম!
হায় আল্লা! এ আমি ভুল দেখছি না তো?
একহাত দিয়ে চোখ কচলালাম দু’বার
না, আমার চোখে কোনো সমস্যা নেই;
সোনালু ফুলের ঝলক মেখে মুখে গোড়ায় বসে
আগাদেরই দুই ক্ষেত্রসৈনিক,
পুরাতন তাদের মালীর হাতে নতুন দুইটি ঝারি
আর মালীদের ঘিরে উচ্ছ্বাসে উল্লসিত
হাওলাদার আর চাকলাদার, হক আর হিমু!
এবং এখন আমার সেই টিপটার রঙও বদলে দিতে চায় তারা!
উপসংহারহীন
কিন্তু দুনিয়ায় কোথাও কর্তৃপক্ষ কমেনি,
দ্যাখো, আগেরগুলো সবই আছে;
তাদের সাথে যোগ হয়েছে
দ্বিচারিতার কোট পরা আরও এবং অনেক!
আজ কোনো সর্পরূপী প্ররোচনা নেই;
তবু একবার, তবু বহুবার
তোমার নিঃশ্বাস ঘেঁষে
রক্তমাংসের আদম হয়েছি
গন্দমের পাতা নেড়েও তুমি কেন
একটিবারও হাওয়া হতে পারোনি?
সেলফি তোলো হাঁটু ঘেঁষে হাঁটুতে,
চুল রেখে চুলে,
ঠোঁট এসে ভিড়ে যায় ঠোঁটে,
তবু ফাঁক রয়ে যায় কোথাও!
সরস্বতী মেধা, আফ্রোদিতি বাহু
এই নিয়ে নত হও প্রত্নরঙের প্রথার পায়ে
‘এটার পেছনে মহাসেন!
ওটার বুকে সিডর!
আড়াল মানে তো চুরি!
প্রকাশ্য মানেই র্যাব!’
আর তোমার কথার শেষে
প্রতিবারই কেঁপে ওঠে
স্বরাষ্ট্র সচিবের পিওনের মতো তিনটি বিস্ময়চিহ্ন!
ওয়াকওভার
ঘর পোড়ে-দোর পোড়ে
পোড়ে বৃক্ষ-পোড়ে প্রাণ
কে লাগালো এ আগুন?
-এ বিতর্ক টানটান।
এ আগুন কে নেভাবে?
কার লব? কার হর?
নদী দুষে—মেঘ দুষে
ওয়াক-ওভারে অগ্নিঝড়।