এখনো আদিম রূপে পার্লার সাজায়
হাতুরি পেটালে ইস্পাতের প্রাণ খুলে তৈরি হয়
পোড়ানো বারুদ…
আমার শরীর থেকে তুলে নেবে সব মসলিন আঁশ,
কণ্ঠ ও কঙ্কাল হাড়,
সুঁতোর বুননে মিশে হারালে তোমার
কামারশালায় ফিরে পাওয়া কয়লার মুখ দেখি :
এখনো আদিম রূপে পার্লার সাজায়
দুবৃত্তের ক্রোধ,
পচনের নিচে কাটা হাতের কয়েকটা আঙ্গুল ছটফট করে।
জ্বরের চিহ্ন ছড়ানো রক্তের ফোঁটা
বেরুচ্ছে শরীর ফুঁড়ে তোমার নৃত্যের যমোজ পা
হারানো মন্ত্রের তাল
উড়ছে সময় স্বপ্ন থেকে বেড়িয়ে আসা দেহের গান।
ভোরের শিশির মনে পড়ে?
নিয়মের ফোঁটা, চিনির বয়াম খুলে জমে;
শরীর উত্তাপে গলে যাওয়া ঘ্রাণ
কিছু জ্বরের চিহ্ন লাল সিরাপে মেতে ওঠা
দাগকাটা বোতলের গায়ে লেগে আছ;
ছড়ানো রক্তের ফোঁটা
গরম রোদের দেহ জড়ানো পোশাক তুমি অন্ধকার,
আলো আঁধারের চিৎকার!
আমাদের নদীর কিনার
এখনো লাহার হাটে শরত-শীতের রোদ
এসে বসে,
এলোমেলো হাওয়া এখনো তরমুজ ক্ষেত খুঁজে বেড়ায়
আমাদের নদীর কিনার;
নিঃশব্দে বিকেল ঘিরে নেমে আসা দু’পারের ব্যাকুল সন্ধ্যাও
ভাঙনের শব্দ জাপটে ধরবে বলে,
বিছানার ভিড়ে তুলো ওড়াউড়ি…
আদরের ক্রিমে কাতরতা
মনে হয়, চিবুকে তোমার লাল করমচা ক্ষতগুলো
পিঁপড়ের কামড় খাওয়া অজও…
জোয়ারের জল
এপার-ওপার বুকে বয়ে চলা লাহার হাটের ফেরি চলাচল।