যাবে, তুমি যাবে?
যাবে? তুমি যাবে?
একপশলা বৃষ্টি হয়ে আমার সঙ্গে যাবে?
মেঘের বুকে ডুব দিয়ে সেই নীলমহলের জলের তোড়ে,
আমার সঙ্গে যাবে?
মোহন আভায় ভাসিয়ে দিয়ে,
ঝাপটি মেরে মেঘের পাখায়,
অবাক শোকের তুলোয় উড়ে ছন্দমাখা গন্ধ নিয়ে
আতশবাজি ছড়িয়ে দেওয়া জলঘরের ওই আঙিনায়?
যাবে? তুমি যাবে?
আঁধারঘেরা আলোর ঝিনুক খুঁজতে যাবে?
শ্রাবণ রাতের আকাশ থেকে তারার শস্য তুলতে যাবে?
চেনা দুয়ার খুলবো তখন মৌনমালার নোলক ফুলে
অবাক হয়ে ছুটবো তখন তোমার আমার ছোট্ট ভুলে।
গোলাপ রাঙা চোখের ভেতর নম্র পায়ে হেঁটে গিয়ে;
খুন করা সব শব্দাবলী তুলতে গিয়ে আছাড় খেয়ে;
ওই মেঘমালার চিহ্নে ফোটা ঝরতে থাকা বৃষ্টিরেণু;
ধরবো দুজন, মেঘের বুকে লুকিয়ে থাকা সুরের বেণু;
যাবে? তুমি যাবে?
আমার সঙ্গে নীলমহলের জলের তোড়ে?
অবিশ্রান্ত ঝরে যাওয়া দূর আকাশের চোখের কোণে?
যাও যদি আজ আসবো রেখে তোমার আমার সকল আগুন;
মেঘের ঝাপটা নিভিয়ে দেবে জমাট থাকা বুকেরই খুন।
আমবনে চাঁদের আলো
ওপরে চাঁদের আলো—নিচে আমবন—আমবনে জোসনা
হামা দিয়ে যায়
উতল পৃথিবী দোলে—ধবল দোলনায়—সে অরূপে মন মজে যেতে চায়,
চাঁদের আলো দেখে—গাছের ফাঁকে থাকা—লজ্জা পেয়ে ছায়ারা লুকালো
নিচে আমবন—আমবনে জোছনা—ওপরে চাঁদের আলো।
জোছনা ছুটে আসে—চাঁদের শরীর ছিঁড়ে—আমার শরীর
ছিঁড়ে বের হয় মন,
প্রশান্ত সবুজ পাতা—ঘুম থেকে জেগে—পাকা আমের ঘ্রাণে সাজায় ভুবন,
আমবনে আলোর নেশা—চাঁদের সে কি নেশা—পৃথিবীর বিষণ্নতা ভাঙলো,
নিচে আমবন—আমবনে জোসনা—ওপরে চাঁদের আলো।
ধবল জোসনায় ভিজে—ডুবে আছি একা—পৃথিবীর সব একা নিয়ে দাঁড়িয়ে
এলোমেলো কত গল্প—বাদামি রঙের মতো—বহুদূরে আমাকে নেয় তাড়িয়ে,
হামা দিয়ে জোছনা—চাঁদের শরীর ছিঁড়ে—পৃথিবীর পানে কেন এসে দাঁড়ালো!
নিচে আমবন—আমবনে জোছনা—ওপরে চাঁদের আলো।