পথ
খাঁচা ছেড়ে কতদূর যাবে—
পাখি।
নিঃশব্দ মনের উঠোন ডিঙিয়ে
পায়ে পায়ে পেয়ে যাবে ডানা।
যেভাবে চাও, পেয়ে যাবে—
সমূহ ওড়ার বাসনা…
ক্ষয়
সুতো দিয়ে বাঁধা আছে হাত
কুঠার দিয়ে জল কাটার গল্প—
পুরনো অনেক। অন্ধ বিনয়ে
নত হওয়ার আগে ভেবে দেখো—
লাল রিবনে বোঝা যায় না রক্তের দাগ!
পরাবাস্তব ঘোর
একা বাড়িতে ছড়িয়ে থাকে চোখ—
বায়োস্কোপ!
রাতের তুলিতে জবারঙের কালিতে
আঁকা হয় নগ্নছবি—সিঁথিতে সিঁদুর!
সেই পুরনো বাড়ি—ফ্রেমবন্দি
অ্যালবামের পাতা থেকে উঠে এসে
ভেতরে ছড়িয়ে দেয় মমির পুতুল…
কণ্ঠসাধক
কাক মরে গেলে কোকিল হয় না।
কোকিল মরে গেলে কবি হয়ে যায়…
আত্ম আয়না
একটা চড়ুই ভেতরে ঢুকে গেছে—
মাংসশরীরে।
পাখনার আঁচড়ে লিখছে রক্তজন্ম
ফেলে আসা পাতার জীবনী।
অমিলিত লালস্রোতে কাঁপছে দেহ
কম্পনে নড়িয়ে দিচ্ছে গোঁড়ালি…
বন্দিত্বের বিপরীতে মুক্তির মোহ
ছায়াঘরে পড়ে থাকে গলিত মোম।
মন্তব্য