প্রহর বাজে
অন্ধকার হাতড়ে হাতড়ে আঙুলে ঠেকেছে আলো
অন্ধের রাত বুঝে নিয়েছি কোথায় সে আটকালো।
ব্লাউজ ফাটা ভোর দেখেছি জলভেজা তোর গা
দুর্গতিনাশিনী সকাল, তুই-ই তো দুর্গা।
মেঘ ফটকে আটকে ছিল অবাধ্য প্রহর
হঠাৎ দেখি দাঁড়িয়ে আছে বয়সের জোহর।
ঠিক করে নে, ঠিক করে নে, বাকিবেলার গান
মাথার ভেতর বাজছে এ এক ভয়ঙ্কর আজান।
অ্যালবাম
ব্রহ্মপুত্র পাশে শুয়ে আছে, ময়মনসিংহ বলে, খেলবাম।
আজ তুমি নেই, খেলাও নেই
বালিশের নিচে অ্যালবাম।
ভ্যাপসা গরম, কচি পাটক্ষেত, তোমার-আমার দুপুর
সোনালী আশ, বিবর্ণ দিন
উজান গাঙে রাত-বিরাতে লোভের নৌকা, উপুড়।
অভিবাসীর বসন্ত
হঠাৎ ব্রেক, থমকে দাঁড়াই, ব্যঞ্জনবর্ণে ত্রাসের হসন্ত
ওইটুকুই, আমারও, দূর বাল্যকালের উজ্জ্বল বসন্ত।
এখন পাতা ঝরে, কুঁড়ি ফোটে, ডালে ডালে লতানো ঋতু
বিস্মৃত বিকেল; কোনো এক বসন্তে বুকে উষ্ণ হাত, মিতু।
দানবীয় শীত, এক ঝলক, রক্তের ফোটার মতো লাল টিউলিপ
মধ্যরাতে আলোহীন ছুটতে থাকা সাবওয়ের ভয়ার্ত খোঁড়ল
কাজ, কাগজ, কোর্ট…ঘুটে ঘুটে জীবনের জল বড়ই ওড়ল
কৃষ্ণচুড়াগুচ্ছ আজ স্বপ্নভুখ অভিবাসী চোখে দূরের ফিউ দ্বীপ।
(ওড়ল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক শব্দ, অর্থ ঘোলা)