অসহায় পৃথিবী অসুস্থ
পৃথিবীর শরীরে ফ্লো-জ্বর, কাশছে, শ্বাসকষ্ট, কাঁপছে তিরতির-
তার সন্তান থেকে সন্তান আলাদা, এক দেশ থেকে আরেক দেশ বিচ্ছিন্ন।
মানুষ থেকে মানুষ পৃথক; গৃহবন্দি। আক্রান্ত আতঙ্কে
সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে না আন্তঃদেশীয় ট্রাক-ট্রেন।
শূন্যতার তাকিয়ে হাহাকার করছে সিএন এবং আইফেল টাওয়ার
টাইম স্কয়ার ফাঁকাশূ্ন্য, গগনে ধু ধু করেছে মরামেঘ একা একা
শূন্যাকাশে উড়ছে উড়োজাহাজ, ভ্যাংকুভারে ভিড়ছে না জলপরী।
টেমসব্রিজে হাঁটছে না পর্যটক, মানুষ পাড় হচ্ছে পুলসিরাত
শশ্মানের মতো খালি খা খা করছে ইতালির লাশ, লাশের গন্ধ
ক্ষুধার্ত মিউজিয়ামের অন্ধ মূর্তি, তৃষ্ণার্ত ফ্রান্সের বোবা গ্যালারি
কাবার চার পাশে চক্কর খাচ্ছে না মমিন বান্দা।
ভেটিক্যানে মানুষহীন সন্ত্রস্ত কবুতর তাকাচ্ছে ইতিউতি,
ভেনিসের যানজলে ভাসছে না যুগলফুল, নব দম্পতি।
বিউটিফুল বসন্ত, রাঙামাটি রেখে সবাই গৃহবন্দি,
সবুজ পাতাদের বিটোভেনেও কেউ দিচ্ছে না সাড়া।
কাঁপছে অসুস্থ পৃথিবী! কাঁদছে অসহায় বিশ্ব!!
ইতেকাফ
চুরিচর্চা, চোখসঙ্গম,
চুমুলোভী, চ-বর্গীয় শব্দাবলি
আত্মপ্রচারের অপরাধ থেকে ছুটিতে যাচ্ছি।
ভালো থেকো সকাল, ষড়ঋতু
ফুল-গাছ-পাখি, শেয়ার বাজার, চীন-জাপান
এবং তুমিও ভালো থেকো।
যাই, যাচ্ছি আলাদা হয়ে একান্তে
ইতেকাফ অথবা নিজবন্দি একাকিত্বে
আইসোলেশনে!
ছিঁড়ে নিচ্ছি স্বতন্ত্র
নিজের ছায়াকে সামান্য একটু সময় দেই;
ভালোবাসি আইসোলেশন।
আনন্দে থাকো; আতঙ্কে নয়
দুই দ্বিগুণে এক আকাশ, আশ্চার্য আনন্দ।
ক্লান্ত লজ্জাবতী ফুল।
নিদ্রাহীন, তৃষ্ণাহীন পড়ে থাকে যুদ্ধক্ষেত্রে
সন্ধি, শান্তিসুখ-
ওঁম শান্তি; শান্তি শরীরে
চমৎকার চিয়ার্স!
মানবজাতি, আনন্দে থাকো; আতঙ্কে নয়
লিকুইডে ধুয়ে ফেলো বীর্য-ভাইরাস,
ঘৃণা করো করো না,
করোনাকে পাঠিয়ে দাও আইসোলেশনে!