ঘোরের ভিতরে চলে যাই
কী এক ঘোরের ভিতরে চলে যাই,
ফিরে আসি—
বাসনের চিৎকারে চকিত হই
ভোরের ভেতরে শান্তিকামী গান্ধী নাকি গান্ধীকামী শান্তি
মনে পড়ছে না, শুধু নিরামিষ আর ছাগবীর্যের প্রহার অচৈতণ্যে;
কাঁসার থালাগেলাসের আবেদন ফেলে পালিয়ে যেও না—
মেঘনার জল আরও ঘোলা হবে; আরও তীক্ষ্ণ সন্ধিরস
আর লোনা সংগর্ষ—এসব উপেক্ষার নামে মনে পড়ে যায়
যাঁর নাম, লোকে তাঁকে কালীচরণ নামে চিনতো
যাজনিক সন্ধ্যা শেষে আমিও তাঁর মতো প্রিয়তমা, চুমু খেতে
চাই, ভুলে গিয়ে সমস্ত স্মৃতিচারণবিদ্যা—
অসুখ
আমার চুম্বনে ফোটে না রক্তজবা
রোদ ওঠে না ধূলিময় শহরে—
নামে সিসার ভারবাহী অতন্ত্র বিষাদ
ভেজা রাস্তা ধরে হেঁটে যাই
পেছনে তাকিয়ে দেখি
নিঃশব্দে শীত নেমে আসে
আমার ঘুমের আশেপাশে কাক ওড়ে
সারারাত নিবিষ্ট ঘ্রাণের শেষে
ক্লান্ত হয় কুকুর
ভোরের আলস্যে দেখা দেন পিতামহ
তার খড়মের ঘড়ঘড় শব্দ যেন নিদ্রপুরীর খরা
হায়! এমন অসুখ আমার, ক্লান্তি নামে উরুর উষ্ণতায়
ভুল
বেদনার দিকে তাকাই—দেখি জননী হয়ে চিল মেলেছে ডানা
দুঃখের দিকে তাকাই—দেখি বর্ষা নেমেছে দিগন্তজুড়ে
জীবনের দিকে তাকাই—নিঃসঙ্গতা জমে আছে চরাচরে
নিজের দিকে তাকাই—ভুল ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই অভিধানে