ভ্যান গগের জ্বর
ভ্যান গগ বসেছিলেন এইখানে, জলের দরজা খুলে, সৈকতে পোশাক রেখে নেমেছিলেন জলে, সেই থেকে জলের ছবিগুলো বড় বেশি নীল মনে হয়। তারপরও সূর্যমুখীর মুখ কেন এত হলুদ লাগছে বলো তো
ভিনসেন্ট পুড়েছে জ্বরে, তার চোখে সূর্যের আলো। কপালে জলপট্টি দিয়ে সারারাত বসে আছি পাশে, আহারে কেন তার এত জ্বর এলো! কেন বোঝে না সূর্যমুখী সে যে ব্যথার গহন তাপে কেঁপে কেঁপে ওঠে, ঝরে পড়ে আল্পসের বনে
সারারাত ভুল বকে ভোরবেলা ঘুমিয়েছে সে, ডেকো না তাকে। রঙের স্বপ্নমাখা কোনো স্বপ্ন দেখছে হয়তো, ঘুমঘোরে জ্বর এঁকে যাচ্ছে। তার নিশ্বাসের শব্দ খুব অন্যরকমের অচেনা লাগছে। এবার থিউকে লিখে দিতেই হলো একবার আসতে
থিয়েটারে বসবাস
ভালোবাসা একধরনের ভিখিরিপনা
বেহদ্দ বাতাসে ওড়ে তাহার জামা
প্রাণ ভরে না তাই
প্রাণের সাথেই চলে কাঙালপনা
প্রেত্মারা লাফিয়ে চলে আমার বিবাহ বাসরে। অনেকেই ছিল কিন্তু দেখতে পায়নি সকলে। কেউ কেউ বুঝলেও বলেনি আমাকে, আমিও যে দেখেছিলাম বলিনি কেউকে। ভ্রমণ ছিল না সেসব, কেবল ইতিউতি ঘুরে মরা। মনমতো কিছুই হলো না
বাজনা বাজানো ভিখিরি। তোমার সুরের প্রার্থনা সব সময় ব্যাগ বা পকেট পর্যন্ত পৌঁছে না, হৃদয় তো বহুদূর। কান ও ইচ্ছার মাঝেও আছে যোজন ব্যবধান
অসামান্য উপবাস
কেউ আমার খোঁজ নিও না, আমি এখন নিখোঁজ আছি।
তামাদি এই কানুন ঘিরে, তুলোট বাতাস এঁকেবেঁকে আসতে চেয়েও আর এলো না। নিখোঁজ জীবন অনেক দূরে অপেক্ষাতে, দোলাচালে এপাশ-ওপাশ করে শেষে, শিকড় থেকে মূর্খ
রাতের ব্যথা মুছে, পাশ ফিরে শোয়, হলফনামা মুচড়ে ফেলে
এভাবেও জীবন কাটে, দীর্ণ দিনের দীর্ঘশ্বাসে হাসতে হাসতে, হাসতে হাসতে
লিখেছিলে, শরীরের যত্ন নিও। তা কী করে হয়! আমার কোনো শরীর নেই, তাই যত্নও নেই। আমিও যে তোমারই মতো অশরীরী