আলপথ দূরে
রাজহাঁস নেই, পাখির ফসিল কফিনের ঘুমে ছিলে
চুম্বনে চাঁদের আলো গ্রন্থিল স্ফটিক ডানা ঝাপটায়
পালক ছড়ালে দেখি, উদ্দীপ্ত রয়েছ স্তনের বোঁটায়।
ভিতরে ক্ষরণ রাখা বিষ কামড়ের সুখে উগ্রে দিলে,
লোনাজলে ভেজা জরায়ূতে লবন ইলিশ গন্ধ ছিলে।
আঁধার সম্ভোগে কাঁপা জ্বালায় অঙ্গ কেমন শঙ্খচূড়ে
কামসূত্র বরফ ঠাণ্ডায় গলে যাওয়া আলপথ দূরে।
শিশ্নের প্রস্রাব
আবিরত ঝরে রতি, শরীর উর্বর শস্যে ভরা উরু
লাঙল চাষের সব কলা বুঝি? ওড়ে বাতাসের বুকে
মুখগুঁজে শিখে নেবে, শ্রমজীবী রমণীর গন্ধ শুঁকে—
আলিঙ্গনে বাধ্য যিশুও, মেরি ম্যাগডোলিনের গুরু।
কৃতদাসী কামনা জ্বালায় প্রফেটের বুকে কাঁপে ভুরু
তৃষিত কুয়োয় ঢেউ তোলে, মাতৃত্বের দৈব ঋতুস্রাব—
আঙরাগে ঠুমরি শুনি, শৃঙ্গারে জ্বলে শিশ্নের প্রস্রাব।
পরনারী অন্তরে অন্তরে…
কতটা ব্যথায় হলে বক্ষলগ্ন ব্যকুল ঘাসের নিচে
প্রবল গর্জন তুলে ঝরে, জোয়ারের দুধ ভরা স্তনে—
দুহাতে ঘেঁটেছি কত নরম নরম কাদা-জল মনে
ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টিবিষ টলটলে ঝরে কালো পিচে।
ইরিক্ষেতের রাগে হাওয়া বইছে লাল কাঁকড়ার বিচে—
কী ভাবলে? পরপুরুষের অধিকার নেই বুঝি ঘরে
ঘরের দেবতা পুজা হয়, পরনারী অন্তরে অন্তরে…।
ঘর্ঘর শব্দ কিসের জানো?
সন্তর্পণে খুলে দেখি, ঝলমল করে হুইস্কির গ্লাস
যুবতি দেহের পিন কোড ভুলে গেছি হ্যাকারের হাতে
ডুবোচর উঁচুনিচু সর্বাঙ্গ কোথাও, আছে কি তফাতে?
নাবিকের দল জানে, বায়োলজি ডিজিটাল সব ক্লাস।
রাত্রি যতোই বাড়ে বাড়ুক, আসবে রমণী সান্তাক্লস।
হাঙরের ক্ষুধা যেন, আরব্য-ব্রা বোঁটায় মুক্তা বসানো
ফাটলে কাঠের চাকা ঢুকে, ঘর্ঘর শব্দ কিসের জানো ?
নাভির উঠোন ছুঁয়ে
অবাক বাসর ঘরে, কীট আর আরশোলা বাস করে
এ কেমন সংসার পেতেছ, কুমিরের ঘর ভাঙা ঝড়ে?
ব্যাকুল বাতাস, কখন ধানের ক্ষেতে করে ওড়াউড়ি?
যখোন আড়ালে চিতাবাঘ হয়ে ওঠে হৃদয়ের ঘুড়ি।
আঁজলায় ভরা জল তোলপাড় করে হাওয়ার কামড়ে।
চুম্বন এঁকে দিয়ে যায় বুঝি কেউ? আবগাহন ধুয়ে
অভিভূত সেই ঝড় বয়ে যায় নাভির উঠোন ছুঁয়ে।