অদেখা পৃথিবী-২
প্রচণ্ড উচ্ছ্বাসের ভেতরে হঠাৎ কেঁপে উঠি
ভুলে যাই সামনে যা থাকে।
শুধু একটি ছবি…যে হাসে না,
অথবা তাকিয়ে থাকে না অবুঝ দৃষ্টিতে।
গগন ফাটানো চিৎকারে মাতিয়ে রাখেনি সে
শুধু চোখ বুজে পুরো পৃথিবীকে অন্ধকার করে এখন বাস করছে
বাইজেন্টিয়ামের মতো কোনো অলীক রাজ্যে।
আমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ যখন কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল হয়ে ওঠে,
জীবন বাবু তখন জীবন্ত হয় প্রতিটি শিশিরে।
কবিতা
প্রতি রাতে ভাবি একটি কবিতা লিখবো,
তোমার মতো সহজ আর সাদাসিধে
ঘুম থেকে উঠে দেখবো শেয়ারে ছেয়ে গেছে প্রতিটি নিউজফিড।
আমাকে না জানিয়ে সংবাদমাধ্যম ব্রেকিং জানাবে চ্যানেলে চ্যানেলে,
ঘুমে আমি হামহাম দেখি, দেখি আলোকচিত্র।
ভেনগগ কিংবা এরিস্টটল দেখি।
চিন্তায় তুমি আসো না শুধু।
কবিতা কি তুমিই?
অগ্রযাত্রা
অপেক্ষার প্রজন্মে ভর দিয়ে চলছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড,
অথচ রাশি রাশি পাখি ডানার অভাবে উড়াল ভুলে গেছে,
আগন্তুক এসে কৌশলে কেটে নিয়েছে ডানা,
খেয়ালি পাখি হারায় তাদের নিজস্বতা,
কতিপয় উচ্ছ্বাস উঁকি দেয় বেদনার নীল গর্তে,
যদিও পেঁচাটা তখনো খেয়ালের ভুলে ডেকেই যাচ্ছিল।
মন্ত্রপুরের সাধন তখন অট্টহাসিতে বিমুখ আর
বহু বছরের আরাধনা আজ সার্থক।
পাখির বাসা আজ বিলীন,
হারানোর শোক প্রকাশ করার জল নেই নদীতে।
আর পাখির কঙ্কাল তখনো ঝুলছে প্ল্যাকার্ড কিংবা ব্যানারে।
অথচ সুবোধেরা আজ পালিয়ে গেছে।
রয়ে গেছে স্মৃতিশাস্ত্র।