ফুলের উদ্ধরণ চিহ্ন
কেশর ছুঁয়ে আমি শুধু ফুলকে জাগাই
সৌরভ না হরণের রাগে সে টেনে নেয় আমায় তার গোপন চোরাবালিতে?
তলিয়ে যেতে যেতে পাতালের ভেতর থেকে শুনি শীৎকারের কোকিলা-সিম্ফনি
বে-আব্রু ময়ূরের ভাষা পরিভাষা হয়ে আসে হরিতকী-চোখে
আঙুল থেকে উপচে নামে আগ্নেয়লাভার কিউপিড
আহা,গোটা ফুলের উদ্ধরণ চিহ্ন গাজুড়ে ফুটে উঠছে আমার!
শঙ্খের পাখি
শঙ্খের ভেতর আমি পাঠিয়েছি দম
শঙ্খের ভেতরে থাকা পাখি আমাকে ফেরত পাঠিয়েছে
জীবনের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি
কবি হলো গাছ আর
কবিতাগুলো তার পাতা
মাঝে মাঝে কবিতার পাতায় তার ঠোঁট
অমিত্রাক্ষর ছন্দে চলে বুকের উঠানামা
শঙ্খের পাখি নৈঃশব্দ্যের আয়তন তোমার ঘুম
নৈঃশব্দ্যের তুমুল উৎসবে
শুধু পালকে তোমার আঁচড়ে
নিতে ইচ্ছে করে জীবন
মধ্যবিত্ত মন
আর জিরাফের স্বর্গের মাঠে চড়ার ইচ্ছেটা
কাকে বলি শিশু থেকো
কাকে বলি শিশু থেকো, শিশুই থেকো
কেউ তো এখন আর শিশু থাকে না !
বাতাসে আসে বয়স বাড়ার শোক
গাছ থেকে নামে গাছের করুণ অঙ্গ
থুতুতেও আছে প্রবঞ্চনার বিষ!
প্রেমিকার চোখে বিশ্বায়ন
প্রেমিক বেচে দেবে কি না হোটেলে!
প্রেমিক পাছে ব্ল্যাকমেলে পড়ে ভয়ে
একটি ম্যাচের কাঠি জ্বালা পর্যন্ত
অপেক্ষা করে না
বলি বড় বিল্ডিংগুলো সব
খেলনা ঘর হবে।বড় গাড়িগুলোও খেলনা
জুয়ার আসরগুলো আর
ভুলগুলো সব বায়োস্কোপে যাবে
হবে ভেতরে রঙিন পুতুল নাচ
কিন্তু কেউ তো এবেলা শিশু থাকে না
মেঘ আঁকে না, ফড়িং ধরে বলে না
আজকের দিনটা তোমার জন্য!
শুরু হয়ে যায় স্যুট-ব্যুট সেমিনার, ফুলপ্যান্ট ইশকুল-কলেজ
শুরু হয়ে যায় সন্দেহ লেখার দিন!
হাতে হাতে নখ ফুটানোর দিন
সত্যি শিশু তারাই কি
অসময়ে যারা ভালোবেসে যায়?