বিশ.
বেহশত দোজখের মাঝ সীমান্তে যে ধূ-ধূ পথ
কল্প এই পথে তুমি দেবযানী, খুঁজে ফেরো ছড়ি
ছায়াপথে রাতদিন, ঢেউ তুলে হৃদয়ের হ্রদ
হ্রদে নীলভোর নামে, পাশে তুমি একাকিনী নারী।
আলাস্কা মসজিদ পাশে যেন কোনার্ক মন্দির
লক্ষ্মীপূর্ণি-তুমি নারী, আমি যে পার্বতীহীন শিবা
পাপ বলে যা কিছু প্রচল প্রশ্ন করো তাকে বীর
সুভাষের খোঁজে ধূ-ধূ জনপদে রাত্রি করি দিবা।
ডাকাতিয়া বিলে দোল রাতে ওফেলিয়া রূপে ভাসো
পাপ-পূণ্যি খেলায় তোকে ভালবেসে করেছি জয়
পদ্মিনী রমণী তুমি মুখ টিপে ক্যানে তবে হাসো
ধর্ম-সত্য বলে বানানো গল্পে আঁকানো পরাজয়।
ইনফার্নোর ভয়ে আপনাকে লুকাও মালবিকা
মনের চেয়ে বড় কোরান-গীতা নাই বিশ্বে দেখা।
একুশ.
তোমার ঝর্ণায় স্নান শেষে জানি প্রেম কাকে বলে
জন্মলগ্নে বৃহস্পতি গ্রহ ছিল না ভাগ্য রেখায়
উত্তর ফাল্গুনী নামে যেই তারা আকাশেতে জ্বলে
তার পাশে তোকে জ্বলতে দেখেছি দীপিকা মেলায়।
তারারা অন্তরলোকে থাকে, ওটা রাতের কাহিনি
প্রত্নবীজের খোঁজে বস্ত্র খুইলাছো রতি-শয্যায়
কত আলোকবর্ষ পরে জানবো যা গল্পে রটেনি
প্রেমে আমি ঈশ্বরের মতন পরাধীন পর্যায়।
দেবীকা তুমি কাকে ভালবেসে নীরব হলে শেষে
কাবার বাতি, কোনার্ক প্রদীপ ম্লান, রূপের পাশে
বলো দেবী কোন শনিগ্রহ হৃদয়ে কামড়ে দিলো
কাফের মনও প্রেমধর্ম দীক্ষায় প্রেমিক হলো।
হৃদয় নগরী বারেক লুণ্ঠিত হয়েছে আমার
বিষাদের মাঝে খুঁজে পাইছি যে প্রেমকে জানার।
বাইশ.
সমুদ্র ললনা নওতো তুমি তিতাস পাড়ে বাড়ি
বাল্টিক সাগর তীরে আর্তনাদ শুনি যে তন্দ্রায়
ঘুরে ফিরে আমি অশ্রুত শব্দে লিখি তোমাকে নারী
কটিদেশ ধরে খাবো চুমু ঝিলপাড়ে চন্দ্রিমায়।
সবুজ লণ্ঠন হাতে কেন তুমি রাত্রি শেষে ডাকো
শরীরে গোপন পানি নিভৃতে মেঘের বাষ্প তোলে
অচেনা গলির পথে গোপন তোমাকে পাইনাকো
লেহাঙ্গা তুলো না তুমি, বৃষ্টি হয়ে ঢুকে যাবো ছলে।
আল্লাহর কাছে চেয়ো না কিছু, রুটি দাও অনাথে
নিষিদ্ধ কবির ঘরে হানা দেয় তোমার প্রণয়
তোমাদের সৃষ্টি মহীয়ান উনি যে শূন্য ধরাতে
রাত্রির ভিতর দিনের দীপ্তি দূরে দেখি প্রলয়।
প্রেমের আয়ুর কত জানি চুপ থাইকো না রাণী
রূপের সাগরে ডুব দিলেই পাবে যে তীর্থখনি।