হারানো পাখিরা
পথের কিনারে, ছিল না পরশ
আঁধার চোখেই ব্যথার কাঁদন
গুমরে মরেছে সকাল-বিকাল।
প্রেমের আশায় পথের ঠিকানা
বসেছি ভুলেই নীরব যাতনে
কোথায় কোথায় ব্যথার কাঁদন
বুঝেছি আমিই খুবই গভীরে।
নদীর দু’কূলে ভেসেছে শুধুই
হারিয়ে কথারা আমার মতন
খুঁজছি আমিই হারানো পথই।
হাসুক পাখিরা তাদের মতন
নীড়ের খোঁজেই এবার আসুক
পাখিই ফিরুক পাখির ঘরেই
ফুলের বাগানে বসুক খুশিতে।
ছেড়েছে বসত পাখিরা আমার
ঘুরছি ফিরছি একলা আমিই
বুকের গভীরে ঘুমিয়ে আশারা
দিয়েছে জানিয়ে হারানো খবর।
মানুষ
মানুষ কেন শুকিয়ে যায়- লতার মতন, পাতার মতন
হাওয়ায় কেন ওড়ায় ইচ্ছাগুলি?
কেন মানুষ কলের পুতুল, নাচে খালি কেন
আশার নদীর বুকে জাগে ঘাতক চোরাবালি!
কেন পোড়ে হৃদয় সেতার, আসে না ঘুম কেন
মানুষ কেন হাসির ভেতর পুষে রাখে গোপন ব্যথার।
নদী কেন জোয়ারশূন্য, হারায় কেন স্রোত
মানুষ কেন নদীর মতো, বয়েই চলে, বয়েই চলে!
বহু দূরে, বহু দূরে?
শিরোনামহীন
০১
ভুলে থাকার মুকুট মাথায় তোর
আমার বুকে বিষের চারা
তোর বুকেতে মালতিরা ফুটুক।
০২.
আলোর রেখা দূরে রেখে
কালো কে দাও বর
আমার বুকে ব্যাকুল নদী
তোমার সুখের ঘর।
০৩
উড়ে যা রে ভোরের পাখি
সামনে বিশাল আকাশ।
আমি হলাম একলা দুপুর
আমার দিকে ‘তাকাস’?
চলে যাওয়ার আগে
একটু দাঁড়াবে?
একটু দেখে নিতাম তোমাকে ভিষণ
এই ভয়ে, যদি আর দেখা নাহি হয়!
ভাবনায় রাখি—
তোমার কালো চোখের গ্রহে খুঁজে নেই—
আমার মুগ্ধ চোখের স্থির প্রতিচ্ছবি!
বলো, তুমি কি এবার একটু দাঁড়াবে?