স্বাধীনতা কেন শান্তি দিল না; পথকে দিল না গতি
উর্বর মাটি বাড়িয়ে চলেছে সন্তান-সন্ততি,
গাণিতিক হারে মানুষ আসছে জ্যামিতিক হারে ধন;
ষোলোআনা ভাঙে- ছয় কোটি থেকে ষোলো কোটি জনগণ।
সম্ভাবনার সবগুলো ঘরে অভাব দিয়েছে তালা,
পানি-বিদ্যুৎ গ্যাস-সন্তান বোবা নদীদের জ্বালা।
প্রবাসী হয়েছে স্বদেশের পাখি পালকে মেখেছে রং,
খড়কুটো ছেড়ে বিশ্বাস ভেঙে পালায় প্রতিভা গং।
কতিপয় শেষে কদাচিৎ ফেরে অধিকের বুকে স্মৃতি,
মাতৃমাটির শ্রেষ্ঠ ফসল- সারামাস সম্প্রীতি।
সেই ফসলের চারা আর নেই উধাও হয়েছে সার,
পেট ও পকেট শত্রু হয়েছে; বিবেক দিয়েছে ধার।
পাথরের গান সব নির্মাণে ইমারতে নিবেদন ;
সেতু ও সড়ক কিছুটা বেড়েছে বেশিটা কমেছে বন।
বনের পশুরা মানব খোলসে মুখর হয়েছে অতি;
দখলে নিয়েছে শান্তি-সুখের স্বাধীনতা সম্প্রতি-
লালসার জালে নারী আর শিশু, তরুণেরা ঘুম ঘুম …
নেশা ছাড়ানোর পেশাজীবীরাই চেতনাকে করে গুম।
পতাকা একাকী দাঁড়াতে পারে না, লাঠির ওপরে ভর ,
পাটকাঠিদের রুগ্ন খুঁটিতে অর্থনীতির ঘর…।
নদী মরে গেলে মুখর মাছেরা কাদায় লুকিয়ে বাঁচে,
মুখর ধানেরা খই হয়ে ফোটে খানিক আগুন আঁচে-
যদিও বা নেই শক্তি-তাগদ; পুষ্টিতে অবনতি,
স্বাধীনতা শুধু ব্যাকরণে আছে; খইফোটা সংহতি…।