প্রকারান্তরে ফিরে আসে ঘুম।
বখাটে প্রেম কলঙ্ক রটাতে
দাঁড়িয়ে থাকে পাড়ার মোড়ে।
স্বপ্ন বায়োডাটা হাতে দরজায়
কড়া নাড়ছে খুব
চৌকাঠ ডিঙানোর অনুমতি পেয়ে গেলে
বদলে যাবে দৃশ্যের ছায়া।
ইরাবতিমেঘ থেকে ছুটে আসে
বারিক্কি বাতাস।
আমি তার টুঁটি চেপে
উড়ে যাই পূর্ব থেকে পশ্চিম।
উত্তরের জলে মৎস্যগন্ধা রসিক ভোজন।
দক্ষিণের বরফ আমার স্পর্শমাত্র
গলতে শুরু করেছে।
আটকে পরা শ্বেতভল্লুক
আমাকে দেখে ছুঁড়ে দিয়েছে হাওয়াই চুমু,
বুকের আস্তিনে জমিয়ে রেখে
ওই তো উড়ে যাচ্ছে প্রজাপতি-
স্বপ্নের কোনো গন্তব্য নেই জেনে
ফুলের বাগানে পরে নেই যুদ্ধের পোশাক।
বিজয় নিশান উড়িয়ে
রাজ্যে ফিরে যাচ্ছে অনার্য বীর-
হ্রের্ষা ও উলুর উল্লাসে দ্রাবিড়, দ্রাবিড়!
জিউসের শয্যায় আমার চুমুর ঘ্রাণে
মূর্ছা গেছে হেরাথ।
মণ্ডব ছেড়ে পরকীয়া প্রেমে প্রজাপতি
ইন্দ্রের জলসাঘরে বেহুলার নাচ…
পৃথিবী বহুদিন বন্ধ্যা হয়ে আছে
ধরো, রাতই একমাত্র উর্বর জমি।
আমরা বীজ বুনে যাচ্ছি স্বপ্নের-
যেখানে গাঢ় সবুজ হয়ে ফুটছে প্রেম
মুগ্ধতার রূপকথায় তুমি রাজকন্যে
আলোর মায়াবি ঘোর তোমাকে কুর্ণিশ করছে
তোমার স্তুতি বর্ণনায় স্বয়ং জিউস
অথচ তুমি বৃক্ষের নিচে ঘুমিয়ে পড়েছো
স্বপ্নের ভেতর
একটা কাটাঘুড়ি অস্তিত্বের অ্যান্টেনায় ঝুলে আছে…
তুমি তোমার অস্তিত্বের নামে চুমু খাও
বুকের খামে লিখে রাখো গোপন চিঠি-
ঘোড়ার খুরের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে
রাজপুত্রের বুকে বসিয়ে দিও খঞ্জনি
প্রবাহিত রক্তে যদি লেখে তোমার নাম
তাকে জীবনের প্রতিশ্রুতি দিও
তার নামেই পড়ো গোপন জিকির…