পূজা দিতে আসা এক বেশ্যার গল্প
পাকুড় জেগে থাকে
বাদুড় খোড়লে
ছোট্ট অন্ধকার
কী বলে না বলে
হাস্য ওঠে মনে
সামলাতে হয় তা
এই—তপস্যার ভোরে
অনেক কিছু বারণ
পাকুড় হাসে হাসুক
উনি—আয়ুর দেবতা
সিঁদুর যারা মোছে
তাদের দেবতা
আঁচল-ঝরা পানি
কুমারপাড়ার কেউ
পাকুড়তলায় এসে
আলতো রাখে জবা
পাকুড় হেসে ওঠে
তার—স্ববিরোধী ছায়া
পূজার মেয়েটিকে
উসকানি দ্যায় আড়ে
ঠাকুর, এমনই বেহায়া!
সৌর-বিবাহের প্রস্তাব
নীলনবঘন বাক্যবিনোদ
পাতবে না সংসার?
আলো-বিস্তারি পানি ও মাটির
মৌল অহংকার।
দুজনেই রাজি বিবাহে যখন
দেরি কেন সহোদর
আলপথ বাওয়া গতিগরিমায়
আমরা বানাব ঘর
উড়বে ওপরে নেবুলা কাঁপানো
সারস সমূহদিক
প্রহরে প্রহরে চুম্বনরাঙা
এয়ারোডায়নামিক
সহজিয়া এঞ্জিনে শীৎকারে
দুজনার ধ্বনি-ধ্যান
রেখে আসব চুপটি করে
কবিতার মূল জ্ঞান
অরবিটে দোল খেতে খেতে নেব
মাটিপৃথিবীর নোট
টিকা-টিপ্পনীসহ ব্যাখ্যিব
অমৃত রাষ্ট্রজোট
আমরা যখন জড়ায়ে ধরব
নদীর গর্ভে মাছ
ঝিলিক মারবে সন্তান দিয়ে
সবুজে ছাইবে গাছ
বীজ থেকে ফল, ফল থেকে বীজ
বইবে নিরন্তর
মানুষের রঙে রাঙাব আমরা
কাল ও গতির স্বর
একটু একটু করে মেধামূলে
রতিরহমের বীজ
মানুষজন্মে রুয়ে দেব রুহ
মদিনার মনসিজ
বাংলার কাবা কাব্যকৃতিতে
প্রতিকোষে প্রেমভাব
চির-মিলনের দশায় থাকব
এইশেষ প্রস্তাব।
আইসো হে জ্যোতি নুর-বিজ্ঞান
বইসো আসন পেতে
শিবনৃত্যের তাণ্ডব করি
আমাদের বিবাহেতে!
নির্বাণ
ব্লেড ধারালো ভোরসকালে একটি পোচে
নামিয়ে নিলাম। কী নামালাম? ভুলে গেছি।
রাত্রি? না কৃষ্ণ-শয়তানির মাখনটুকু
এ রে আমি ভুলের খাদে ক্যান পড়েছি!
কাল সিতারা গেঁথেছিল কার্বনার্দ্র
বেশ লেগেছে গা এলিয়ে শুয়ে থাকতে,
সুপারনোভা দেখেছিল আড়াল চোখে
শরম লাগে নাই ঝরে পড়তে-পড়তে,
শুয়ে ছিলাম—আর রতিফুল ফুটেছিল
আজ তাহলে এই পরিণাম হলো কেন!
কাদায় পড়ে লেপ্টালেপ্টি ডানা ভেঙে
এই যে পড়ে আছি আমি উড়াপ্লেন এক,
কী ওঠাতে চেয়েছিলাম কী নামাতে
নাকি সূর্য-ব্লেডের পোচে নৃ-মুণ্ডুটি
ঈশ্বরের? তাহলে তো ভালোই, আমার বেটাগিরি
রইবে না আর, এখন তোমার আদুল গায়ে
শরীর ছাড়া জড়িয়ে রবো আদ্যসত্যে
মহাকাশের রূপের অরূপ মহাগর্তে,
ক্যালেন্ডারের পাতা ছিঁড়ে সারাজীবন
গেয়ে যাব শূন্য-সসীম মীরার ভজন।