নান্দনিক মুক্তির প্রক্রিয়া
তাকালেই দেখবে, কানে এসে ধাক্কা খাচ্ছে
অনিচ্ছার বার্তা–যাতে ঝাঁঝরা হচ্ছে বাসিন্দার মন,
গুটি গুটি পায়ের আগামী।
কই?
তোমার ভেতরে বুঝি আদিম অসুখ
যেখানে এসব দেখার, শোনার মাধ্যম অভাবে–
বা এড়িয়ে চলছ হালকা থাকতে নিজে নিজে
কিংবা ঘুমাচ্ছ জেগেই জাল শব্দ নাকে!
বাগিচায় আগুন লাগলে কি আপেলেরা বেঁচে যায়?
চোখ রাখো কি প্রচার জগতে নিয়ত?
সেখানে তিনটি ইতি ধরা হলে তেরোটিই নেতির নখরে–
এগুলোতে ক্ষত-বিক্ষত হয় না হালের শরীর, আবহাওয়া?
দু’পায়ীর পদচিহ্ন ধরে হাঁটো, মাথাটা খেলাও–
দেখবে, প্রায় সব পা-ই সংকীর্ণতামুখী।
মাটির সংযম, আকাশের উদারতা
বালু গুনেও মিলানো কষ্টসাধ্য, বেশ।
খুলে বলো, এসব গলার কাঁটা থেকে কবে নান্দনিক মুক্তির প্রক্রিয়া?
সোনালি যৌবন
সোনালি যৌবন জলে ডুবতে দেখে উদ্বিগ্ন এ-কাল,
কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের পথে এলোমেলো হাঁটতে থাকে
নিরীহ, নির্বাক।
বেরিয়ে আসার পথ ছোট হয়ে–কুয়াশা তাণ্ডবে;
তোলা দেয়ালেই আটকে নিজে, যেনো রেশম পোকার চিন্তার বৈকল্য,
নৈশঃব্দ্যেরা আস্তে আস্তে বাড়ায় পরিধি,
তখন কাউকে শেয়ারেও অপছন্দ–
ভিতর বিনাশে মরিয়া যন্ত্রণাগুলো।
মৃত্যু উপত্যকায় যোগ দেওয়াকেই ভাবে
নিরাময় পথ–এই ঝাঁপ থেকে বাঁচাবে কিভাবে?
অঙ্কুরে বিনষ্ট হওয়া চাই এসবের উপসর্গ।
আগে-পরে
সবার কানেই তুলো, ডাকলেও শোনে না,
হাতে মুছুনি থাকার পরেও মোছে না নাগালের রেখাগুলো।
এক ডাক দূর থেকে ছোড়া সকাতর বুলি, জরুরি বার্তাও
অরণ্যে রোদন হিসেবেই ক্ষীণ হতে হতে শূন্যে–
অনেকটা, পথে নোংরা দেখে এড়িয়ে চলার মতো পা ও নাক,
কিংবা আখ মাড়াইয়ের পর
পড়ে থাকা ছোবড়া থেকেও কদরে কম; কখনো যা জ্বালিয়েও
হাস্যরসে মজে হেয় করে পথেঘাটে,
চা-পানের টেবিলে টেবিলে–শোধ নিতে
নালী-ঘা বা জিঘাংসার পুরাতন অর্শে।
অথচ দু’দিন আগেও যখন হাতে পাঁচ, হাত ছিল খোলা খোলা
তখন ছিলাম নয়নের মণি, মধ্যমণি–চেনা অচেনায়।
এখন, সে বান্দাই চোখের বালি সকলের কাছে, পদে পদে।