গাঢ় পূর্ণিমার শাদা রাত
মেঘবৃষ্টি ভেজা পাখির পালক অগণিতবার বাতাসের বুক
ভেঙে ওড়ে যাচ্ছে-মাদক তামাশা,
কাঁঠালি রঙের পৃথিবী বহু শহরে-হেমন্ত কুড়ানো আলিঙ্গন
পাড়ি দিচ্ছে রূপবতীর নৃত্য ধুলোয়
পা টিপে গভীর শান্তি, কোমল রঙের মঙ্গল কামনা
আর নীলবর্ণ আকাশের সমাধি গোলাপের জোয়ারে
ডুবে যাচ্ছে আড়িপাতা যুবতীর গহীন প্রীতিহাত;
জানি না সেদিন পাখিগুলো
ঝরাপাতার বৃক্ষ শুরুর উন্মুক্ত আসরে এসেছিল কি না
অথচ রোদ পালানোর আগতলে অসংখ্য শরীর এসেছিল
গাঢ় পূর্ণিমার শাদা রাত, কম্পাসকাটা শব্দের জীবিত ভুরুর ভাষা;
নরকের গোপন প্রেম লুটিয়ে যায় মায়ার গন্ধ স্বর্গের কাছে
চুমুর গাল-হৃদয় মাপে কোথাও অন্ধকার নেমে এলে
পালিয়ে যায়-যায়, হয়তো দীর্ঘ পা’তল অরণ্য বিছানো
নৈঃশব্দ্যের ঝরাপাতার নিচে
আমার মা’র ছবি
সমুদ্রের দিকে তাকালে
আমার মা’র ছবি দেখা যায়
অনায়াসে চিনে ফেলি
বনজুঁই ছাপা কমলা রঙের শাড়ি
সোনা বাধা মুখ—
আর পৃথিবীর দিকে তাকালে
শাদা পায়রা উড়ে যাচ্ছে
আমার মতো
তখন শব্দ বুনে কেবল
নিষিদ্ধ কান্না থামায়—
অবিনাশী জোড় প্রার্থনা দিয়ে।
সোনালি আলোর সিরিজ
পৃথিবীর সব রোদ নেমে যায় কাঁচা দিগন্তের গায়
পথের বিলি কাটে দূর্বাঘাস-কার্তিকের শিশির যেন শাদা বনবেড়াল
এই পৃথিবীর লোফোতেন দ্বীপ, বরফে মাংসকুচির মতো
হাজার লোকের ভিড়, সমুদ্র কাছে নিয়ে হাঁটি যতদূর নীল-মুখরা হাওয়া;
ওই সমুদ্রিত আকাশ নীল পোশাকের সেপাই
একগাল হেসে কয় এইখানে তুমিও এসো একদিন—
আমার বিনিদ্র চোখ-ভিড় করে তারপর সোনালি আলোর সিরিজ
এইদিকে দিঘি দিগন্ত, সোনা ধান ফুল-দুধভাত থালা সামনে…