ইতিহাস
চাঁদরাতে। খুব নির্জনে। এইমাত্র মাদিশিয়াল মরে গেলো নিরিহ শীতে। ঠিক তখন, শুভ্রকেশী একটি নক্ষত্র ঝরে পড়লো পৃথিবীর কুয়াশায়।
নক্ষত্র মরে গেলে ইতিহাস লেখা হয়।
.
শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র
লালপাহাড় থেকে শহরের দিকে হেঁটে আসছে শীত। খেজুর গাছে, মাটির কলসিতে জিভ ঢুকিয়ে রসের মিষ্টতা বুঝে নিচ্ছে শীত।
তারপর একদিন, নির্জন দুপরে শীতপরী আমাদের শহরে এলো; সরাসরি বেডরুমে, শুভ্র এয়ারকন্ডিশনের দিকে তাকিয়ে প্রেমে পড়লো। আমরা বিছানায় শুয়ে শীত ও শীতযন্ত্রের প্রেমে, বরফ বরফ ঘুম, ডুবে আছি শীত ও শীতযন্ত্রের নিঃশ্বাসে।
.
সে রাতে পূর্ণিমা ছিল
বালিহাঁস বহন করে নিয়ে এলো সেই চিঠি, মেঘঘন শূন্যতায়। শূন্যতা অর্থ আকাশ; আশি ফিট উঁচু এপার্টমেন্টের ওপর আড়াল আড়াল আকাশ। শূন্যতার ভেতর দূরে কোথাও না যাওয়াই ভালো। বালিহাঁস ঠিকানা খুঁজছে। বালিহাঁসের খোঁজে শূন্যতার ভেতর দূরে কোথাও না যাওয়াই ভালো।
দশ বছর পর, তার সাথে দেখা হলে জানতে পারলাম, বালিহাঁসের পাখায় লিখে রাখা পত্রে লেখা ছিল, ‘চাঁদে আজ আগুন লেগেছে; আগুনের ভেতর খুঁজে পাচ্ছি না পথ।’
.
কুকুর-বেড়াল সম্পর্ক
চিন্তা করছে কুকুর, মানুষই ঈশ্বর; এই যে এঁটোমাংস, ঘরের বারান্দা সবকিছু প্রভুর কৃপা; মানুষই প্রভু।
চিন্তা করছে বিড়াল, এত আহ্লাদ, মাছ ও মাখন; কোলে তুলে আদর; তাহলে মানুষেরা নিশ্চয় ঈশ্বর ভাবছে আমাকে।
তোমাকে বিছানায় সাজিয়ে আদর করছি; তোমার ভেতর ঈশ্বর অর্থাৎ প্রভু ক্রমশ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
নক্ষত্র বছর ধরে আমাকে বসিয়ে রেখেছো তুমি, কুকুরের আসনে।