স্থির চিত্রদল
বাকি প্রশংসা জমা থাক বাষ্পের শিল্পচিন্তার জন্য।
উষ্ণতার জল ওড়াতে ওড়াতে আকাশে মেঘ জমায়
যে মাঙ্গলিক বর্ষা—
. তার জন্য জমা থাক সবুজের সকল বিশ্লেষণ।
মেঘাশ্রয়ী রাগে, সুর তুলছে যে বিকেল, তার জন্য
সঞ্চিত থাক এতটুকু ভালোবাসা। সমুদ্রের ঢেউগুলো,
একদিন প্রেমের সওদাগর হবে, এই আশা নিয়ে যারা
ভ্রমণে বেরিয়েছিল তাদের হাতে—
স্বপ্নের স্থিরচিত্র উড্ডীন থাক চিরকাল।
আবার দিশা পাক পৃথিবী
আবার সংরক্ষিত হোক মফস্বলের বিল
ভালোবাসার ভোরগুলো উজ্জ্বল হয়ে উঠুক,
রাজহাঁসের চোখে চোখে—সদয় বিলাপে।
ত্রিভূজ রাত্রির ভেতর
সমুদ্রকে ছেড়ে যাচ্ছে একে একে জলবাহুগুলো।
একটি আকাশ, মাটিকে ভালোবাসায় রাঙাতে রাঙাতে
শোনাচ্ছে পঞ্চসত্তার গান।বাজনা বাজাচ্ছে যে বিকেল,
সে-ও অপেক্ষা করছে,ঢুকে যেতে ত্রিভূজ রাত্রির ভেতর।
অনেক যন্ত্রণাও এভাবে পালকের ওমের মাঝে মিশে থাকে।
দ্বীপের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকে যে ছায়া—
. তার জন্য কখনও কাঁদে অরণ্যের নবীন প্রেমিকা।
আর যারা নিজেদের পরিচিতি রেখে যেতে চায়
উদ্যানে-বিজ্ঞানে,
. তারাই আকাশের সাথে করে সূত্র চালাচালি।
নির্জনতম রাত অনাবিল আঁধারকেই খুঁজে, অথচ—
তার শরীরেই লেগে থাকে সহস্রতম চন্দ্রশতাব্দীর দাগ।
সূর্যের পদদৃশ্য
সিঁড়ি ভেঙে নামছে ঝড়। আকাশের শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে
নেমে যাচ্ছে একগুচ্ছ ঘাম। অথচ কেউ কারও মুখ
দেখছে না। জগতে এভাবে মুখ দেখাদেখি অনেকেরই
হয় না। সমুদ্রকে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে যে মাঘ—
তারও প্রয়োজন পড়ে না ঘনিষ্ঠ শীত নিবারণের।
কিংবা সবগুলো পুষ্প জেগে থাকার পরও বসন্তের
পরশ পায় না কোনো কোনো রাত। সূর্যের পদদৃশ্য
দেখে তারপরও ভোর, সাজায় তার প্রাত্যহিক সংসার।
কেউ কেউ সংসার ছেড়ে কেবলই হারিয়ে যায়
অন্য কোনো ঝড়ের গহীনে।